শেরপুরে নিখোঁজের একদিন পর নাঈম ইসলাম লাবন (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রের
রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদরের বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের
সূবর্ণচর গ্রামের একটি লেবু বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই
এলাকার অটোরিকশা চালক মাসুদ মিয়ার ছেলে ও ঘুঘুরাকান্দি মডেল একাডেমির
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাবন মঙ্গলবার (২৭
সেপ্টেম্বর) ঘুঘুরাকান্দি মডেল একাডেমি থেকে দুপুরে বাড়ি ফিরে। পরে
বিকেলে বাড়ির পাশে খেলাধুলা করতে যায়। এসময় সন্ধ্যা হলেও লাবন বাড়ি
ফিরে না আসায় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজতে থাকে। বুধবার সকালে বাড়ির
পাশেই জেঠা জাফরের লেবুর বাগানে লেবু উঠাতে যায় পরিবারের সদস্যরা। এসময়
বাগানের ভেতরে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে
গিয়ে তার রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের মা লাইলি বেগম বলেন, স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পর খেলতে যায় আমার
ছেলে। সন্ধ্যা হলেও আর বাড়ি আসেনি। পরে কয়েকটি আত্মীয়ের বাড়িতে তাকে
খোঁজলেও তাকে পাইনি। আমরা ভেবেছিলাম কোন আত্মীয়ের বাড়িতে আছে। আজকে
সকালে লেবুর বাগান থেকে আমার ছেলের লাশ পাওয়া যায়। আমার ছেলের হত্যার
বিচার চাই আমি।
স্বজনরা জানান, হত্যাকারীরা শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের
আগুনে ঝলসে দিয়েছে, দুই কানে রড ঢুকিয়ে দিয়ে আবার বের করেছে, মুখে আঠা
লাগিয়ে টেপ লগানো হয়েছে, এমনকি পুরুষাঙ্গ ও হাত কেটে নির্মমভাবে হত্যা
করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া বলেন, এই
হত্যাকান্ডের পেছনে পুরোনো কোনো ক্ষোভ থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। পুলিশ
ঘটনাস্থল থেকে লাবনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা
সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নির্মম এই হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত
তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন