স্টাফ রিপোর্টার : দু’টি এয়ারলাইন্সে করে হজে যাওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ। ফলে পছন্দমতো যেকোনো এয়ারলাইন্সে করে হজে যেতে পারবেন যাত্রীরা বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে হজযাত্রীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুস সালাম মন্ডল। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন অকার্যকর বলে খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ ও সউদী এয়ারলাইন্স ছাড়া অন্য কোনো পরিবহনে হাজিরা হজে যেতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সহ-সভাপতি আব্দুল কবির খান, মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ ও রেজাউল ইসলাম নামের এক হজযাত্রী। এ রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৯ জুলাই বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চ পছন্দমতো বিমানে হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন। একই সঙ্গে রুলও জারি করেন। রুলে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহনে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেয়া সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নিজেদের পছন্দমতো যেকোনো এয়ারলাইন্সে করে যাত্রীরা হজে যেতে পারবেন বলে রায় দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে সে আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন