খুলনার আলোচিত মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ীর কথিত অপহৃতা রহিমা বেগমের মামলায় কারাগারে আটক ব্যক্তিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং নিখোঁজের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রহিমা বেগম ও তার কন্যা মরিয়ম মান্নান, আদুরী আক্তার, মিরাজ হোসেন সাদীর গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট বাসষ্ট্যান্ড চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনের কাছে এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রহিমা বেগম নিখোঁজের ঘটনা তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা কিভাবে পরিকল্পনা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে তা ইতিমধ্যে মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী দেখেছে। রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ স্বজনরা পরিকল্পিত ঘটনা তৈরি করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর এর দায় চাপিয়ে দিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থাকে মরিয়ম মান্নান ও তার বোনেরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে ফায়দা লুটতে চেয়েছিল। বক্তারা বলেন তথাকথিত নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে তারা দেশের এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমুর্তি নষ্ট করেছে। এটি নতুন করে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখার আহ্বান জানান বক্তারা।
আটককৃতদের পরিবারের স্বজনরা বলেন, মানুষের ইমোশন নিয়ে যারা খেলা করেছে, ১৭ কোটি মানুষের আবেগ নিয়ে যারা খেলা করেছে, তাদের বিচার না হলে এমন অনেক ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। মানববন্ধন থেকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আটককৃতদের মুক্তি না দিলে একই দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষনা দেন।
মো. আলামিন হাওলাদারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কেসিসি ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, ফুলবাড়ী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম, খানাবাড়ী যুব সংঘ ক্লাবের সভাপতি আবু হেনা বাবলু, সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান লিটন, মহানগর বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজান, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, ইউপি সদস্য মো. মামুন শেখ, আটককৃত মহিউদ্দিনের কন্যা মালিহা মহিউদ্দিন মাহি, হেলাল শরীফের কন্যা অন্তরা ফাহমিদা, পলাশের স্ত্রী মরিয়ম হাসান মৌ, মরিয়ম মান্নানের সৎ ভাই মিজানুর রহমান ও হুমাউন কবিরসহ মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন