রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের গণসংযোগকালে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতারের উপর হামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভায় গণসংযোগকালে ১০/১২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তার উপর হামলা চালায়। এ সময় আখতারুজ্জামানের সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করে বলে দুর্গাপুর থানার ওসি নাজমুল হক জানান। তিনি বলেন, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভায় গণসংযোগে যান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতার। সেখানে তিনি পৌরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক গিয়ে মতবিনিময়ে বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতার বলেন, আমি কাউন্সিলরদের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় করছিলাম। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল খান ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিপনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক এসে বলে প্রথমে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি বলি মতবিনময় শেষ করে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। তখন তারা এটা এখানে করা যাবে না বলে মতবিনিময়ে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা আমার উপরও হামলা করে। এ সময় আমার সমর্থকদের সাথে তাদের হাতহাতি হয়। পরে তারা সেখান থেকে চলে যায়।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এমন আচরণে আমি ক্ষুব্ধ। আমার ভোট চাওয়ার অধিকার আছে। ভোটাররা ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। আমাকে বাধা দিয়ে তারা কি বোঝাতে চাইছে। এ ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানাবো। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল খান বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান ছিলেন না। তার কর্মী সমর্থকরা ছিলেন। বিধায় তাদের চিনতে পারিনি। অপরিচিত লোকজন পৌরসভায় ঢুকার কারণে আমরা গিয়ে জিজ্ঞেস করেছি কেন তারা এসেছে। ভুল বুঝাবুঝির কারণে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলেও জানান শাকিল খান। রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। স্বতন্ত্র তিন প্রার্থীর মধ্যে আখতারুজ্জামান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। অপর দুই প্রার্থী হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল ও আফজাল হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন