শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:২৫ পিএম

খাগড়াছড়িতে দর্শনীয় স্থান বলতে শুধু আলুটিলা গুহা আর রিছাং ঝর্ণার কাছেই হার মানতে হতো পর্যটকদের। বিশাল সুউচ্চ আলুটিলার সৌন্দর্য্য আর নান্দনিকতা নিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা কতো কতো পঙিÍমালা লিখেছেন! আর এসব পঙিÍমালাকে হৃদয়ে ধারণ করে আলুটিলাকে একটি পরিকল্পিত ‘পর্যটন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে মনোনিবেশ করেন, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ বিস্তৃত হওয়ায় গত এক দশকে খাগড়াছড়ির পর্যটনখাত বিকশিত হয়েছে।
পাহাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে আসছে। এতে স্থানীয় অর্থনীতি বিকশিত হচ্ছে। তবে টেকসই পর্যটন গড়ে তুলতে আরও নতুন ট্যুরিস্ট স্পট গুলোর উন্নয়নের দাবি সংশ্লিষ্টদের।

পাহাড়, উপত্যকা, ঝিরি অসংখ্যা ছোট বড় ঝরনা, আলুটিলার রহস্যময় গুহাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভুমি খাগড়াছড়ি। তবে এক দশক আগেও খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল অনেকটা সীমিত। তবে বর্তমানে পর্যটনকেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় খাগড়াছড়ি এখন পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য।
আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, তৈদুছড়া, ঝুলন্তব্রিজ, শিলাছড়ি, মায়াবিনী লেকসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন খাগড়াছড়ি। এছাড়া সাজেকের রুইলুই যেতে খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হয়। পর্যটনকেন্দ্র গুলোর উন্নয়ন হওয়ায় ও পাহাড়ে সড়ক যোগাযোগ বিস্তৃত হওয়ায় খুশি ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আরও ভালো করার কথা বলেছেন অনেকে।
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া বলেন, এখনো অনেক পর্যটন স্পট ও রাস্তাঘাট ভালো না। সেগুলো মেরামত করলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। পর্যটক বাড়লে আত্মসামাজিক উন্নতি ঘটবে বলে তিনি আশা করেন।

খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু পর্যটনের কাজ হলেও আরও যেসব পর্যটন স্পটগুলো আধুনিকায়ন করা হয়নি। সেগুলো দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা দরকার। একই সঙ্গে নতুন নতুন স্পট আবিষ্কার করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা উন্নয়নের কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে কিছু পর্যটনকেন্দ্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা বলয়ে আনতে কাজ করছে।
খাগড়াছড়িতে প্রতিদিন স্থানীয় ও বাইরের পর্যটক মিলে হাজার থেকে দেড় হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে বিশেষ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কয়েক হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন