রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দলের লাগাম থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২২, ৩:৩০ পিএম

কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিযে যতই জলঘোলা হোক না কেন, দলের লাগাম থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই। এমনকি, বর্তমান সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দলীয় নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা বললেও আসলে তাঁদের ইচ্ছাই যে শেষ কথা সেটি মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
কংগ্রেসে বিদ্রোহী শিবিরের নেতা বলে পরিচিত শশী থারুরের বিরুদ্ধে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতা অশোক গেহলট, দ্বিগ্বিজয় সিং এর পর রাজ্যসভার বিরোধী দলয়ী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম উঠে আসাতেই বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এই তিনজনই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তবে শেষ হাসি হেসেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠজন বসতে পারে বিষয়টি কেবল এখানেই সীমাবদ্ধ নয় বরং ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে রাহুল গান্ধী ব্যস্ত থাকলেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভূমিকা নিয়েও কংগ্রেস শিবিরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাই কংগ্রেসেরই একটি বড় অংশই কেবল দলীয় প্রেসিডেন্ট বদলকে ব্যক্তিগত আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
দুই শকেরও বেশি সময় পর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির শীর্ষ পদে বসতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কোনো ব্যক্তি। কিন্তু ক্ষমতার লাগাম থাকছে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উত্তরসূরীদের হাতেই। তবু নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক চালবাজির কমতি নেই। বর্তমানে ভারতের ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কংগ্রেস শুধুমাত্র ২টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। অভ্যন্তরীণ অশান্তির জেরে রাজস্থানেও দলের অবস্থা শোচনীয়। দলে যে বিন্দুমাত্র অনুশাসন নেই সেটা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠ বিধায়কেরাই। অথচ এই অশোককেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি করা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল।
বছর দুয়েক আগে কংগ্রেসের সভাপতি পদপ্রার্থী শশী থারুরসহ দলের ২৩ জন প্রথম সারির নেতা নির্বাচিত এবং স্থায়ী সভাপতির দাবিতে চিঠি লিখে জি-২৩ তকমা নিয়ে দলে বিরুদ্ধ মতাবলম্বী বলে পরিচিতি লাভ করেন। সেই বিদ্রোহীদের অন্যতম গুলাম নবী আজাদ ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে অন্যদল তৈরি করেছেন। তবে শশী থারুরু বলেছেন, তিনি জি-২৩ না বরং কংগ্রেসের দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। কেবল তাই নয়, জি-২৩ বলে পরিচিত নেতাদের অনককেই দেখা গিয়েছে শশী থারুরের প্রার্থীতার বিরোধিতা করতে।
তবে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। গান্ধী পরিবারের ইচ্ছায়ই সভাপতির দৌড় থেকে নিজেকে সড়িয়ে নিয়েছেন প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট, দ্বিগ্বিজয সিং। এমনকি, প্রিয়াঙ্কার ইচ্ছাতেই নাকি অশোক গেহলট শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করে সামনের বছর রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে দলকে জয়ী করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতাদের অনেকের কাছেই অবশ্য কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদ আসলে ‘রামায়ণে রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে ভরতের রাজ্যশাসনের’ থেকেও কম সুখের। কারণ আসল ক্ষমতা থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতে। দায়িত্বটুকুই শুধু নতুন সভাপতির। তবে ব্যর্থতার দায় পুরোটাই তাঁর। তাই ১৭ অক্টোবরের নির্বাচন বা ১৯ অক্টোবরের ফল ঘোষণা নিয়ে সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের তেমন কোনো উৎসাহ নেই। সূত্র : আনন্দবাজার

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন