বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চলছে বালু উত্তোলনের খেলা

দিনে বন্ধ রাতে খোলা

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দিনে বন্ধ রাতে খোলা, চলছে বালি উত্তোলনের খেলা। পৌর এলাকার ১৫ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন গড়াই নদীর জুগিয়া অংশে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় এই বালু উত্তোলনের মহোৎসব। অবাধে চলে ভোর অবদি। জেলা প্রশাসনের ইজারা না পেয়ে অনেকটা পেশী শক্তির বলেই চলছে বালি উত্তোলন। এর ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

জানা যায়, নদী থেকে বালি উত্তোলন করতে সরকার একটি নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী রাতে বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইন একেবারেই তোয়াক্কা না করে কুষ্টিয়ায় চলছে অবাধে বালি তোলার মহোৎসব।

এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন না হলেও উন্নয়ন হয়েছে বালি উত্তোলনকারীদের। বষার্কালে কাঁদা আর শুকনো মৌসুমে ধুঁলা বালির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয় এই এলাকার মানুষদের। কিছুদিন পূর্বে এই অবস্থা থেকে সাময়িক মুক্তি মিললেও আবারো বালির ঘাট চালু হওয়ায় বিপাকে পড়েছে এলাকার জনসাধারণ।
আরো জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাতের আঁধারে প্রতিদিন শত শত ড্রাম ট্রাকে করে বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শহরের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। প্লেটর, স্কেবেরট ব্যবহার করে কাটা হচ্ছে নদী গর্ভের বালি। নির্ঘুম রাত ও আতঙ্কের মধ্যে রাত কাঁটাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
এদিকে, কোন ভাবেই যখন বন্ধ হচ্ছে না রাতে আঁধারে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন তখন অনেকটা নিরুপায় হয়ে দিনের আলোয় বালি উত্তোলনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রচন্ড গরমে এলাকাবাসীরা যখন একটু স্বস্তির আশায় বন্ধ দরজা জানালা খোলেন তখন উল্টো বাতাসের সাথে ঘরের ভিতরে বালি ঢুকে বিপাকে পড়েন এলাকাবাসীরা। সেই সাথে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকাবাসীরা ।

স্থানীয় বাসিন্দা আমানত আলী বলেন, এসব দেখে মনে হয় সব কিছু বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, রাত যত গভীর হয় ততই বালি কাঁটার হিড়িক পরে এই বালির ঘাটে। বালির ঘাটে চলাচলের জন্য দুইটি রাস্তা ব্যবহার হয়। যার একটি বালির ঘাট হতে কানাবিল মোড় সড়ক আরেকটি বালিরঘাট হতে হাটপাড়া দিয়ে ত্রিমোহনী সড়ক। তবে ত্রিমহোনী সড়কের রাস্তা থেকে পাথরগাদী ও মাদরাসা মোড়েও উঠা যায়।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বিষয়টি না জানার মধ্যেই আছেন। এবারও তার সাথে কথা হলে, তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান। তবে আশার আলো এই যে, শেষ পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত জুগিয়া বালিরঘাট কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন