কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, সাফজয়ী নারী ফুটবলার নিলুফা ইয়াসমীন নীলা শুধু কুষ্টিয়ার নয়, দেশের গর্ব। আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি নিলা আমাদের নারী সমাজের পথ প্রদর্শক। অবহেলিত নারী সমাজের আলোকবার্তা। নিলাকে অনুপ্রেরণা মনে করে কুষ্টিয়ার নারী ফুটবল এগিয়ে যাবে।
শনিবার (১ অক্টোবর) কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে সাফজয়ী বাংলাদেশি নারী ফুটবলার নিলুফা ইয়াসমীন নীলাকে সংবর্ধনা প্রদানকালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমার বিশ্বাস নারী ফুটবলে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ। আজ আমরা অনেক আনন্দিত এই কারণে যে যারা সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সুনাম তুলে ধরেছেন তাদের দলের অন্যতম একজন কুষ্টিয়ার মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন নীলা। তাকে সম্মানিত এবং বরণ করতে পেরে আমরাও সম্মানিত বোধ করছি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী এবং খুলনা বিভাগীয় ডিএফএ সভাপতি মকবুল হোসেন লাবলু, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ। মঞ্চে নিলার মা বাছিরণ খাতুনও উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধিত হয়ে নিলা বলেন, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা সংবর্ধনা দিয়ে আমাকে যেভাবে সম্মানিত করেছে তাতে আমি অভিভূত, পুলকিত। কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমি উঠে এসেছি। আমার ফুটবলার হয়ে ওঠার পেছনে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা ছাড়াও স্মরণ করতে চাই প্রয়াত ফাত্তাহ ভাইকে। তার সার্বিক সহযোগিতায় আমি আজ বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড় হতে পেরেছি।
অনুষ্ঠান শেষে নিলার হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ টাকা এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
এরআগে দুপুরে কুমারখালী উপজেলার মীর মোশাররফ সেতু থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে বরণ করে নেওয়া হয় তাকে। পরে কুষ্টিয়া শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসা হয় তাকে। এরপর জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা সম্মাননা স্মারক ক্রেষ্ট তুলে দেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন