চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক গৃহবধূকে ধর্যণের অভিযোগে ধর্যককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোসলের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক গৃহবধুকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এ ভূক্তভোগী গৃহবধূ বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আদলতে মামলা দায়ের করেন। এরপর (১ অক্টোবর) শনিবার দিবাগত রাতে মামলার ১ নম্বর আসামি যুবক আব্দুল্লা আল মামুন (২৫)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুন পাড়া নামক গ্রামে।
মামলা ও ভুক্তভোগি গৃহবধূ সূএে জানা গেছে , গৃহবধু বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে অনেক সূখে বসবাস করে আসছিলেন। তার স্বামীর বাড়ীতে পুকুরে গোসল করার সময় যুবক আব্দুল আল মামুন গোপনে কিছু নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। স্বামী চাকুরীতে থাকায় এ সুযোগে তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে একা পেয়ে তার গোসলের ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়েদেয়া সহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এদিকে ধর্ষণের বিষয়ে কারো কাছে কিছু বল্লে তাঁর স্বামীকে হত্যা করারও হুমকি দেয় ধর্ষক মামুন। ধর্ষিতা গৃহবধূ তাঁর নিজের পরিবার ও স্বামীর নিরাপত্তার কথা ভেবে কাউকে না জানিয়ে বিষয়টি গোপন রাখেনন । সর্বশেষ চলতি বছরের ৩ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ টায় মামুন পূর্বের মত আবারও ভয়ভীতি দেখিয়ে একই ভাবে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে গৃহবধূ চিৎকার করতে থাকে। এসময় আশেপাশের লোকজন আসার আগেই অভিযুক্ত মামুন গৃহবধুকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এদিকে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে গৃহবধূর গর্ভে একটি কন্য সন্তানের জন্ম হয়। শিশু কন্যাটির সাথে ধর্ষক আব্দুল আল মামুনের সাথে অনেক মিল। গৃহবধূ ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এক পর্যায়ে প্রতিবেশিরা গৃহবধূকে জিজ্ঞেস করলে ভূক্তভোগী গৃহবধূ পূর্বের সকল ঘটনার কথা প্রতিবেশীদের খুলে বলেন। গৃহবধূর স্বামী নুরুল হুদা সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্ত্রীর গর্ভে যে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে তার সাথে ধর্ষক মামুনের চেহারার সাথে মিল থাকায় প্রতিবেশিরা বিষয়টি নিয়ে গুনগুন করেন। এতে করে আমার স্ত্রী বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ছিল। কিন্তু আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকতে আমি তাকে মানসিকভাবে সান্তানা ও বুঝিয়ে আসছি। কিন্তু মামলাার আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পরিবারের সকলেই আমরা নিরাপত্তা হীনতায় আছি। এবিষয়ে
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক নাছরুল্লাহ বলেন, মামলার ১ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর মামলার অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন