কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এই প্রশাসন কখনই শিক্ষার্থীবান্ধব ছিল না। তাদের হুটহাট সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের কমিটি ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণার পর শনিবার (১ অক্টোবর) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজা-ই-এলাহীর নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর সামনেই ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়। তাদের প্রতিহত করতে ধাওয়া দেন বিলুপ্ত কমিটির নেতারা। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রবিবার (২ অক্টোবর) হল বন্ধ করে প্রশাসন। ১০ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবরের সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পড়াশোনা করব ভেবে পূজার বন্ধে বাড়িতে যাওয়া হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে হল বন্ধ করে দেওয়ায় এবং বৃষ্টি থাকায় কোথায় যাব ভেবে পাচ্ছি না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেছে।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহাদুর ইসলাম খান নাঈম বলেন, আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। ভেবেছিলাম পূজার বন্ধে পড়াশোনা করব। কিন্তু হঠাৎ তৈরি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বলছে ৬টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে। বাইরের পরিবেশও ভালো না, বৃষ্টি হচ্ছে। কীভাবে কী করব বুঝতেছি না।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, আমরাও এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছি। আমরাও জানি হঠাৎ হল ত্যাগ করা শিক্ষার্থীদের জন্য কতটা ভোগান্তির। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া আমাদের হাতে এর চেয়ে ভালো কোনো অপশন নেই। পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে ১০ অক্টোবর আমরা হল খুলে দিতে পারব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন