বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতির বাংলাদেশ তৈরি করতে চান : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৪২ পিএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বর্ণিলভাবে সেজে গেছে। গ্রাম ও শহরের মানুষ পূজার সাথে মিশে গেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিষয়ে তাঁর যে দৃঢ়তা ও সাহস-সেজন্য আমরা তাঁর প্রতি কৃতঞ্জ। তিনি না থাকলে এই যে সম্প্রীতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো আমরা তা জানি না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হাত থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করেছিলেন এবং সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে একটি জাতিসত্বা সৃষ্টি করেছিলেন। যেই জাতিসত্ত্বা সৃষ্টির সঙ্গে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ যুক্ত ছিল। তারা রক্ত দিয়ে এই বাংলাদেশের নাম লিখিয়েছে। শুধু একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেটাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত দু:স্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপক চন্দ্র নাথ পোদ্দার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৭২ এর সংবিধান রয়েছে; যে সংবিধান সম্প্রীতির কথা বলে। যে সম্প্রীতি নিয়ে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। এর পরে বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়ে গেছে। অসাম্প্রদায়িকতা বিনষ্ট হয়ে গেছে। এদেশকে বিভাজন করা হয়েছে ধর্ম দিয়ে, সমাজ দিয়ে, অর্থ দিয়ে। বিভক্তি করা হয়েছে। কিন্তু এদেশ এগিয়ে যেতে পারেনি। এদেশ অন্ধকার থেকে অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। এদেশের দারিদ্রতা দূর হয় নাই। এদেশের মানুষের যে শিক্ষারঅধিকার তা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। এদেশের মানুষের চিকিৎসার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় নাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গর্ব করে বলতে পারি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেছেন। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বর্ণিল আলোকে আলোকিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীতে প্রশংসিত হচ্ছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল। তার একমাত্র কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতির বাংলাদেশ তৈরি করতে চান। তিনি কোন বিভাজন করতে চাননা। তিনি কোন বিভক্তি চান না।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যেমন আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম; সেই ঐক্যকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চান। তাইতো সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা উপলব্ধি করি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে ৩২ হাজারের ওপরে পূজা মন্ডপে সারাদেশে পূজা হচ্ছে। এত আনন্দ, এত বর্ণিল উচ্ছ্বাস- এটা শুধু হয়েছে সম্প্রীতির কারণে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন