আজ বিশ্ব আবাসন বা বসতি দিবস। প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার সারা দেশে এই দিবসটি পালিত হয়। ১৯৮৫ সালে এই দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। বিশ্ব জুড়ে সব মানুষের নিরাপদ ও মানসম্মত বাসস্থান নিশ্চিতের সচেতনতা বাড়াতে ১৯৮৬ সাল থেকে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছরও অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। আশ্রয় আমার অধিকার প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৯৮৬ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে প্রথম বিশ্ব বসতি দিবস পালন করা হয়। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ৩৬টি প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ বছর তুরস্কের বালিকেসিরে বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গিকার করি, সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালন করা হবে।
কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে একটি। কক্সবাজার শহরে বিশ্ব বসতি দিবসের লক্ষ্যগুলি সফলভাবে পূরণ করার বিভিন্ন সম্ভাবনা রয়েছে। উপক‚লীয় শহর হিসেবে কক্সবাজারের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্ন মাত্রা আছে। শহরটি আবহাওয়া সম্পকিত প্রভাব জি গ্রাউন্ড জিরো। অপরদিকে কক্সবাজারে প্রায় ১.২০ মিলিয়ন রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ায় এখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব জাতীয় গড়ের প্রায় ৩-৪ গুণ। এ কারণে এখানে বিভিন্ন জায়গায় অপরিকল্পিত আবাসন গড়ে উঠেছে ও এগুলো বর্ণিত বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে এবং প্রাকৃতিক ইকো-সিস্টেমে একটি বিরাট চাপ সৃষ্টি করছে।
ফলাফল হিসেবে কক্সবাজার বাংলদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপক‚লীয় শহরগুলির মধ্যে একটি। তাই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার এবং স্থানীয় উপায়গুলো যাচাই করার মাধ্যমে এই অঞ্চল কার্যকরভাবে জলবায়ু সমাধানে অবদান রাখতে পারে।
শহরটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্থানীয়করণের অবদান রাখার সম্ভাবনা রাখে, ইহা টেকসই পদ্ধতিতে সুনীল অর্থনীতি, মৎস এবং ইকো-ট্যুরিজম খাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। এ বিষয়ে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিশ্ব বসতি দিবসের উদ্দেশ্য পূরণ এবং সঠিক প্রতিফলন নিশ্চিত করার একটি অপরিহার্য ভ‚মিকা পালন করতে পারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা, জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলার সম্ভাব্য সমাধান বের করা এবং এসডিজি আরও স্থানীয়করণ করা সম্ভব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন