কুমিল্লার বুড়িচংয়ে কলেজ তরুণীর সাথে অসদাচরণ ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানার এএসআই আবদুল মালেককে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে কুমিল্লার আদালত। এ ঘটনায় ওই এএসআইয়ের সহযোগী সিএনজি অটোরিকশা চালককেও জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনাটি গত ৬ দিন ধরে গোপন রাখার পর গতকাল রোববার দুপুরে বুড়িচং থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, এঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর পিতা গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে ওইদিনই অত্র থানার এএসআই আবদুল মালেক ও তার সহযোগী সিএনজি চালক বিল্লালকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা বুড়িচং রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইলের লড়িবাগ এলাকার স্থানীয় একটি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী তার মায়ের জন্য ওষুধ আনতে গাড়ি না পাওয়ায় পায়ে হেঁটে লড়িবাগ রাস্তার মাথায় পৌঁছলে একটি সিএনজি অটোরিকশা তার সামনে এসে দাঁডায়। এ সময় তরুণী সিএনজিতে উঠে। এ সময় আগে থেকেইে সিএনজিতে থাকা বুড়িচং থানার এএসআই আবদুল মালেক ওই তরুণীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করতে থাকে। পরে তার সাথে সম্পর্ক রাখলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। পরে প্রায় দুই ঘণ্টা বুড়িচংয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে শ্লীলতাহানী করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর ওই তরুণী কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে ওই তরুণী তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তরুণীর পিতা বাদী হয়ে এএসআই আবদুল মালেক ও সিএনজি চালক মো. বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওইদিনই তাদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন