হঠাৎ বাস না চলায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুরগামী যাত্রীরা। এতে বিকল্প একমাত্র যানবাহন হিসাবে রয়েছে অটো রিকশা। তাও যাবে না মেহেরপুর। গত শনিবার রাতেও স্বাভাবিক ছিলো বাস চলাচল। হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। তবে কবে নাগাদ এর সুরাহা হবে তা জানাতে পারেনি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি।
গতকাল রোববার সকাল থেকে কুষ্টিয়া বাস টার্মিনাল থেকে মেহেরপুরগামী কোন বাস ছেড়ে যায়নি। এছাড়া মেহেরপুর থেকে ঢাকা গামী কোন দুরপাল্লার যাত্রী পরিবহনও ছেড়ে যায়নি বলে জানা বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন লাবলু।
সুমাইয়া খাতুন তার বাচ্চাকে নিয়ে যাবে মেহেরপুরে। কুষ্টিয়া বাস টার্মিনাল থেকে মেহেরপুরের বাস না যাওয়ায় সুমাইয়াকে আসতে হয়েছে ৪০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে মজমপুরে। মজমপুর থেকেও কোন গাড়ী না পেয়ে একমাত্র ভরসা আলফা মোড়ের সিএনজি ষ্ট্যান্ড। সেখানে যেতে আরো ২০ টাকা দিতে হয়েছে তাকে। কিন্তু সিএনজি মেহেরপুর পর্যন্ত যাবে না। বামুন্দি পর্যন্ত যাবে সিএনজি ভাড়া গুনতে হবে ১২০ টাকা। সর্বশেষ মেহেরপুর পর্যন্ত যেতে আরও ১০০ টাকা লাগবে। একদিকে যেমন বৃষ্টি হয়েছে, তার উপরে বাস চলছে না। পদে পদে ভোগান্তি। আর বাস না চলায় ভাড়াও দিতে হচ্ছে বেশি। অন্যদিকে অধিক ঝুঁকিসহ সময়ও লাগছে বেশি।
কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের যাত্রী আমলার সাইফুল ইসলাম। কুষ্টিয়া এসেছিলেন বিআরটি এ অফিসে। কিন্তু বাস না চলায় তার ভরসা অটো রিকশা।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া এবং মেহেরপুরের বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এরই ফলস্রুতিতে একাধিকবার এই রুটটিতে বাস চলাচল বন্ধ এবং রুটও ছোট করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন লাবলু জানান, ঢাকার কোচ বাসে যাত্রী তোলা নিয়ে গত শনিবার মেহেরপুরের বামুন্দি এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বাস মালিক ও শ্রমিক গ্রুপের মধ্যে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাস চালকরা এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি মনে করি এটা কেবলমাত্র মেহেরপুরের পরিবহন মালিক সমিতির আচরণের ফলেই এই সমস্যার সৃষ্টি। তিনি বলেন, আশা করছি শিগগিরই এটির একটা সমাধান হয়ে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন