শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাগুরায় চাঞ্চল্যকর মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ ও মোমিন হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর রহস্যজনক মৃত্যু

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৩৮ পিএম

মাগুরার আলোচিত মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ ও মোমিন ভুঁইয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মোহাম্মদ আলীর (৪৫) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ১ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার কালিনগর গ্রামের আলীর প্রথম স্ত্রীর বোনের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। তবে আলীর স্বজন এটাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়না তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মোহাম্মদ আলীর ভাই ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন, ‘আমার ভাই মোহাম্মদ আলী শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এ সময় খোঁজ নিতে তার মোবাইল নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। শেষ রাতে মোহাম্মদ আলীর প্রথম পক্ষের ছেলে লিমন জানায় তার বাবা স্ট্রোক করেছে। তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি মোহাম্মদ আলীর মরদেহ ট্রলিতে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানিয়েছে হাসপাতালে আনার ১ঘণ্টা পূর্বে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা মনে করি আলীকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে তার সাবেক স্ত্রীর আত্মীয় স্বজনরা হত্যা করেছে।’

তবে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে কান্নাজড়িত কন্ঠে মোহাম্মদ আলীর প্রথম স্ত্রী রিনা খাতুন জানান, তাদের ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তার স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তিতে ছিলেন। এ সব বিষয়ে কথা বলতে শনিবার সকালে তাকে ডেকে আনে মাগুরা শহরে। পরে তারা কালিনগর খালাতো বোনের বাড়িতে যায়। সেখানে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে রাত ২ টার দিকে আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকরা আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যেহেতু পরিবার থেকে এটি অস্বভাবিক মৃত্যু বলে দাবি করছে। সে কারণে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই সন্ধ্যায় শহরতলীর দোয়াপাড় এলাকায় অধিপত্য নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাড়ে সাত মাসের গর্ভবতী গৃহবধূ নাজমা বেগম ও বৃদ্ধ আব্দুল মোমিন ভুইয়া। এ সময় তার গর্ভে থাকা শিশুটিও গুলিবিদ্ধ হয়। ওই রাতে মাগুরা সদর হাসাপতালের চিকিৎসকরা ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রপচার করে মা ও গর্ভে থাকা শিশুটির জীবন বাঁচান।

২৪ জুলাই মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ বৃদ্ধ আব্দুল মোমিন ভুইয়া রাতে মারা যান। এ ঘটনায় নিহত মোমিন ভুইয়ার ছেলে রুবেল ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় ১৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২ নম্বর আসামি ছিলেন মোহাম্মদ আলী। মামলাটি বর্তমানে মাগুরার অতিরিক্ত দায়রা আদালতে বিচারাধীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন