চট্টগ্রাম জেলায় এবার শ্রেষ্ঠ ইউএনও হলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন। জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে মনোনীত হয়েছেন তিনি। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে তাকে চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচন করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে৷ শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এদিকে ইউএনও মোঃ শাহাদাত হোসেন
জানান, সীতাকুণ্ডে নিয়মিত রুটিন কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনোদৈহিক বিকাশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেকগুলো কাজ করেছি।
সীতাকুণ্ডের মাননীয় এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলমের নামে জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৫০ লক্ষ টাকা বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করে এবং পুরো ৫০ লক্ষ টাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে। এই অর্থ ব্যয়ে সীতাকুণ্ডের ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের জন্য "ওয়েটিং শেড" নির্মাণ কাজ চলমান আছে। পাশাপাশি এই ওয়েটিং শেডগুলো ছোট্ট শিশুদের "ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার" হিসেবেও ব্যবহৃত হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর “বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) কর্মসূচি” হতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ত্রিপুরা পল্লীতে অবস্থিত “ত্রিপুরাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়” এর শিক্ষকদের বেতন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও ছাত্রীদের জন্য বাইসাইকেল ক্রয়ের জন্য ৯ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। তা যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ডে ২০২১-২২ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের "উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্প" হতে প্রাপ্ত ৫০ লক্ষ টাকার ১০ লক্ষ টাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এর মোট বরাদ্দ হতে ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা সামগ্রী বিতরণের জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালনার জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরে সীতাকুণ্ডের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এর মোট বরাদ্দ হতে ২ লক্ষ টাকা সোনাইছড়ি ত্রিপুরাপাড়া বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ ও প্রজেক্টরসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় সীতাকুণ্ডের ১৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়।
ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক অনুদানে সীতাকুণ্ডের ২৪টি বিদ্যালয়ের ৪৪টি শ্রেণিকক্ষ পুননির্মাণ ও সংস্কার করে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণির জন্য ব্যবহার উপযোগী ও আধুনিক করা হয়েছে। তিনটি বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট করা হয়েছে। ৯৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার১৪০ শিক্ষার্থীর ড্রেসও নিশ্চিত করা ও ১৯,৪০০ শিক্ষার্থীকে টিফিনবক্স ও পানির বোতল সরবরাহ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন