তিনি রাজনীতির মাঠে পরিচিত মুখ। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের নেতা হাবীবুল্লাহ হাবীবকে সবাই চেনে। তার ঘনিষ্ট কয়েকজনের কথা, হাবীব আগামীতে যুবলীগ থেকে প্রমোশন পেয়ে উপজেলাতে আওয়ামী লীগে সক্রিয় হবেন। কিন্তু সেই প্রমোশনের আগেই ছাগল কাণ্ডে চারদিকে ছি ছি পড়েছে।
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় ঘটেছে ছাগল কাণ্ড। যুবলীগ নেতা হাবীব ও তার সঙ্গীর এমন কীর্তি এখন গোটা জেলায় সবার মুখে উচ্চারিত হচ্ছে। সাধারণ লোকদের কথা, যে নেতা একটি ছাগলের লোভ সামাল দিতে পারেন না তিনি কী করে জনগণের জন্য কাজ করবেন? গতকাল সোমবার দুপুরে জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে হাবীব ও তার সঙ্গী মিরাজুল ইসলামকে স্থানীয়রা ধরে গণধোলাই দেয়। তারা উভয়ে একটি ছাগল চুরি করে পালানোর সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন। গণধোলাইয়ের একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
হাবীবুল্লাহ হাবীব নিজেকে পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী যুবলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। বাড়ি পৌর শহরের গুয়াগাও মহল্লায়। বাবার নাম জোবাইদুর। হাবীরের সঙ্গীর নাম মিরাজুল ইসলাম। তার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার তাজপুর গ্রামে। বাবার নাম মোহাম্মদ কোম্পানী।
যুবলীগ নেতা তার সঙ্গীকে নিয়ে সদর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের একটি আম বাগান থেকে ছাগল চুরি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। ছাগলের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে হাবীব সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে ব্যর্থ হন। এরপরই তাদেরকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে গণধোলাই দেওয়া হয়।
ছাগলটির মালিকের মেয়ে সুমাইয়া জানান, মহেশপুরের একটি আম বাগান থেকে তাদের একটি খাসি ছাগল মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল ওই দুই যুবক। এ সময় প্রতিবেশি এক ভাইসহ তিনি মোটরসাইকেলে করে পিছু ধাওয়া করেন। নেকমরদ বাজার এলাকায় স্থানীয় জনতার সহায়তায় তাদের ধরে ফেলেন। এসময় জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনির ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু বলেন, হাবীব ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নয়। সে একজন সাধারণ সদস্য। এই ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন