ইরানে চলমান বিক্ষোভের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ শুরুর পর প্রথম প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি।
ইরানে এক দশকের মধ্যে এই বিক্ষোভ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। খামেনি বলেন, এ ‘দাঙ্গা’ ইরানের চিরশত্রুরা এবং তাদের মিত্রদের ইন্ধনে হচ্ছে। বিক্ষোভে হিজাবের সঙ্গে পবিত্র কোরআনও পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমন পরিস্থিতি ভবিষ্যৎ বিক্ষোভ মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের এই সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।
গত সোমবার পুলিশ ও আর্ম ফোর্সেস ক্যাডেটদের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, ‘মাহসার মৃত্যু আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ কোনো প্রমাণ বা তদন্ত ছাড়াই পরিস্থিতি বিপজ্জনক করে তুলেছে, কোরআন পুড়িয়েছে, নারীদের মাথা থেকে হিজাব খুলে নিয়েছে এবং মসজিদ ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে।’
আয়াতুল্লাহ খামেনি আরো বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, এসব দাঙ্গা এবং অস্থিতিশীলতা আমেরিকা ও ভুয়া দখলদার রাষ্ট্রের (ইসরাইল) কারসাজি। দেশে-বিদেশে থাকা তাদের ভাড়াটে এজেন্টরা কিছু ইরানির সহায়তায় এসব করছে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইরানে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই তরুণীর মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধরের অভিযোগ করা হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়ে ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন