বান্দরবানের তুমব্রুতে মিয়ানমার সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে মো. আব্দুল কাদের (৫০) নামের বাংলাদেশী এক কৃষকের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত কৃষক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চেরারকুল ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। রাত সাড়ে টার দিকে আহত কৃষককে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
আব্দুল কাদেরের সাথে থাকা মোহাম্মদ হোসাইন জানান, সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয় কাদের। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তারেকুল ইসলাম জানান, কাদেরের ডান পায়ের হাঁটু পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চোখেও মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পাওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সীমান্তের ৩৪ নম্বর পিলারের কাছ থেকে ২ জন রোহিঙ্গা কে আটক করা হয়। এরা হলো- নিরঞ্জন বড়ুয়ার ছেলে রিতু বড়ুয়া (২০), এবং মধু বড়ুয়ার ছেলে স্বদেশ বড়ুয়া (২২)। এদের দুজনের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ডেকুবুনিয়া এলাকায়। তারা, সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি তাদের আটক করে। এদের তুমব্রু ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, সীমান্তের কাছ থেকে দু’জন সন্দেহভাজন যুবককে ধরে স্থানীয়রা বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী । তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে।
অপরদিকে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিষ্ফোরণে আবারো শূন্যরেখার এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন।
গত রবিবার (২ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটলেও রাত ৮টার দিকে বিষয়টি প্রকাশ পায়। ঘটনার পর মাইন বিষ্ফোরণের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন শূন্যরেখার বাসিন্দারা।বাংলাদেশ সীমান্তের ৩৪-৩৫ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী তুমব্রু কোণাপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ওমর ফারুক (১৫)। সে তুমব্রু শূন্যরেখাস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৩ নং ব্লকের মো. আইয়ুবের ছেলে। এ ঘটনায় আহত মো. সাহাব উল্লাহ (২৮) ১০নং ব্লকের আবুল হোসেনের ছেলে। এ সব ঘটনা অব্যাহত থাকায় এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন