রাজধানীর বনানীর একটি বস্তিতে রুমান ইসলাম নামে ৭ মাসের এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে প্রতিবেশি কিশোর। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বনানীর কে-বøকের ২২ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ি থেকে রুমানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশি কিশোর রিকশাচালক ভাড়াটিয়া শহিদুল (১৪)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বনানী থানার ওসি ন‚রে আজম মিয়া গত রাতে ইনকিলাবকে বলেন, শিশুটিকে হত্যার কারন প্রসঙ্গে গ্রেফতারকৃত কিশোর মুখ খুলছে না। তবে সে একবার বলেছে, শিশুটির মা বিভিন্ন সময়ে তাকে (কিশোর) বকাঝকা করেছে। এজন্য সে তার শিশু পুত্রকে হত্যা করেছে। তবে প্রকৃত ঘটনা তদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না।
হত্যার শিকার শিশুটির বাবা আমড়া বিক্রেতা আইনুল ইসলাম। তাদের গ্রামর বাড়ি হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর। আইনুল ইসলামের তিন ছেলের মধ্যে সবার ছোট রুমান। সপরিবারে তারা ওই বস্তিতে থাকেন।
আইনুল ইসলাম গত মঙ্গলবার সকালে তিনি কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবর পান ছোট ছেলে রুমানকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাসায় ফিরে তিনি জানতে পারেন, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রুমানকে কোলে নিয়ে তার স্ত্রী হনুফা রান্না করছিলেন। রুমান চিৎকার করে কান্না করছিল। এ সময় প্রতিবেশী কিশোর শহিদুল স্বেচ্ছায় রুমানকে কোলে নিয়ে সেখান থেকে সরে যায়। পরে ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে শহিদুলের কাছে রুমানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন হনুফা। এ সময় শহিদুল কোনো সদত্তর দেয়নি।
স্ত্রীর কাছে পুরো ঘটনা শুনে আইনুলও শহিদুলের কাছে ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো তথ্য দেয়নি।
পরে রুমানের স্বজনরা থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই বস্তিতে গিয়ে শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে সে দোতলা বাড়ির টিনের চালের ওপর গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় রুমানের লাশ দেখিয়ে দেয়।
আইনুল জানান, শহিদুলের সঙ্গে তাদের পারিবারিক বা অন্য কোনো কারণেই দ্ব›দ্ব নেই। শহিদুল কি কারণে রুমানকে হত্যা করলো এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ ঘটনায় বনানী থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন