ময়মনসিংহের নান্দাইলে নাদিম মাহমুদ নামে এক নিরীহ কৃষকের জমি জোরপূর্বক বেদখল সহ বসতঘরে হামলা চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাংচুর করার এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, কৃষক নাদিম মাহমুদ নান্দাইল উপজেলার ৬নং রাজগাতী ইউনিয়নের পাঁছদরিল্লা গ্রামের মৃত সাহেদ আলী ভূইয়ার পুত্র। পূর্বশত্রæতার আক্রোশে একই গ্রামের মৃত শহীদ মিয়ার পুত্র মিলন মিয়া, শামীম মিয়া, ও আসকর আলীর পুত্র ফজলুর রহমান গংরা গত রোববার (২রা অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিরীহ কৃষক নাদিম মাহমুদের বসতঘরে হামলা চালায়। এসময় বসত ঘরে থাকা ৪৫ হাজার টাকা মূল্যে একটি মিনিস্টার ফ্রিজ (রেফ্রিজেরটর) ও আলমারী সহ অন্যান্য আসবাবপত্র দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাইড়াইয়া-কোপাইয়া ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। তবে নিরীহ কৃষক নাদিম মাহমুদ ও তাঁর পরিবারের লোকজন প্রতিপক্ষের ভয়ে দীর্ঘদিন যাবত বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে ওই দিন রাতে প্রতিপক্ষের হাত থেকে প্রাণে বেচেঁ যান নিরীহ কৃষক ও তাঁর পরিবার। পরদিন কৃষক নাদিম মাহমুদ ভাংচুরের বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে, থানার উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এ ঘটনার সত্যতা পান। একাধিক সূত্রে জানাগেছে, মিলন মিয়া, শামীম মিয়া ও ফজলুর রহমান গংরা পূর্বশত্রæতার জেরবশত গত দুই মাস পূর্বে নিরীহ কৃষক নাদিম মাহমুদ ও তার ভাই মাসুদের ফসলি জমিতে জোরপূর্বক হালচাষ চালিয়ে জমি বেদখল দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ বসলেও এর কোন সুরাহায় হয়নি। বর্তমানে দাসপাড়া মৌজায় কৃষক নাদিম মাহমুদের ৮৭ শতক ফসলি জমি অনাবাদি রয়েছে। পাশাপাশি নিরীহ কৃষক পরিবার নিজ জমির দখল হারিয়ে হত্যা মামলার আসামী মিলন, শামীম ও ফজলুর রহমান গংদের ভয়ে পালিয়ে জীবন-যাপন করছে। কৃষক নাদিম মাহমুদ ও তাঁর ভাই মাসুদ মিয়া জানান, প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী ও ভূমিদুস্য সহ নানাবিধ অপরাধের কারনে একাধিক মামলা-মোকাদ্দমা রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে চায় না। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেকার মোমতাজ খোকন জানান, এ ঘটনায় একাধিকার সালিশ বসলেও মিলন ও শামীম গংরা এরা খারাপ প্রকৃতির লোক, সালিশ মানছেনা। বর্তমানে কৃষকের বেদখল জমি উদ্ধার সহ তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নিরীহ কৃষক পরিবার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন