প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
মৎস্য প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিষেধাজ্ঞার সময়ে নদীতে সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন এবং নিয়মিত অভিযান পরিচলনা করবেন। অভিযান সফল করতে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিদফতর, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, নৌ-বাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তারা অভিযান সফল করতে দিন-রাত কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) জেলার রামগতি উপজেলার মেঘনার উপকূলীয় এলাকা ঘুরে দেখো গেছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে থাকা অনেকে জেলে তাদের জাল এবং সরঞ্জাম নিয়ে মাছঘাটে চলে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাত বারটার মধ্যে অন্যান্য জেলেরা ঘাটে চলে আসবে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, চলতি বাংলা মাসের ২২ আশ্বিন থেকে ১২ কার্তিক পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। ফলে টানা ২২ দিন নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ আহরণ, কেনা-বেচা, পরিবহন, বাজারজাত ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দ-নীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারীদের কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদ- এবং সর্ব্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বলেন, ইলিশ সাধারণত সামুদ্রিক মাছ। তবে প্রজনন সময়ে এ মাছ নদীতে চলে আসে। আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমায় বেশিরভাগ ইলিশ ডিম ছাড়ে। এ সময়টাতে ইলিশ মাছ বাঁধাপ্রাপ্ত হলে তাদের প্রজননও বাঁধাগ্রস্ত হয়। ফলে এসব ডিমওয়ালা মা ইলিশ যাতে নির্বিঘেœ ডিম ছাড়তে পারে সেজন্য জেলেদেরকে নদীতে মাছ শিকার থেকে বিরত রাখা হয়। একটি মা ইলিশ আনুমানিক ১০ লাখ থেকে ১২ লাখ ডিম দেয়। এ ডিম থেকে যে পরিমাণ ইলিশের পোনা জন্মনেয় তা যদি ঠিকমতো বড় হওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে নদী এবং সাগর ইলিশ মাছে ভরপুর হয়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন