শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ভোলায় ৭ - ২৮ অক্টোবর ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ।চলছে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২২, ৬:৫০ পিএম | আপডেট : ৮:৩৬ পিএম, ৬ অক্টোবর, ২০২২

ভোলা জেলায় ৭ অক্টোবর ( আজ মধ্যরাত) থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২২’ সফল করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে মৎস্য বিভাগের উদ্যেগে প্রতিদিনই হাট, বাজার, জেলে পল্লী, মাছ ঘাট, মৎস্য আড়ৎগুলোতে জেলেদের নিয়ে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একইসাথে ব্যানার, পোষ্টার, লিফলেট, মাইকিং ইত্যাদীর মাধ্যমে জেলেদের অভিযান সম্পর্কে জানান দেওয়া হচ্ছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম এই ২২ দিনের জন্য জেলেদের সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদউল্লাহ জানান ৬ তারিখ রাত ১২টার পর থেকেই আমাদের অভিযান শুরু হবে চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সচেতনতামুলক সভায় জেলেদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকছেন। বাস-ট্রাক-লঞ্চগুলোতে চিঠি দেয়া হবে, নিষোজ্ঞাকালীন সময়ে ইলিশ মাছ পরিবহন থেকে বিরত থাকার জন্য। বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে বরফকলগুলোকে। এই সময়ে জেলেদের গ্রহণ করা ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার জন্য এনজিওগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।
আমরা নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে কোন নৌকা বা ট্রলার নামতে দেবনা। এ জন্য বিভিন্ন খাল ও মাছ ঘাটগুলোতে নজরদারী বাড়ানো হবে। ঘাটেই যদি নৌকাগুলো আটকে দেয়া যায়, তাহলে অভিযানে অনেকটাই সফলতা আসবে। একইসাথে নদীতেও অভিযান চলবে। সব মিলিয়ে জাতীয় সম্পদ ইলিশ মাছ রক্ষায় অভিযান সফল করতে সকল ধরনের প্রস্তুতির কথা জানান জেলার প্রধান এই মৎস্য কর্মকর্তা।
মৎস্য বিভাগ জানায়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে ১কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩ লাখ ৩০ হাজার মিটার অবৈধ বেহুন্দি জাল, এক কোটি ২০ লাখ টাকা দামের ৮০ হাজার মিটার পাই জাল, প্রায় দেড় কোটি টাকার ৪ লাখ ৮০ হাজার মিটার মশারি জাল,৮০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, পিটানো জাল ৬টি, একটি ঘুনতি জাল, একটি কোনা জাল জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া ১৬টি চরের খুটি অপসারণ করা হয়েছে। এসব জালের কারণে ছোট ইলিশসহ অন্য মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হতো।
উল্লেখ ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ২২ আশ্বিন থেকে ১২ কার্ত্তিক এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারীকে ১ থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা যাবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো জানান, একটি প্রাপ্ত বয়স্ক ইলিশ মাছ এই সময়ে সর্বোচ্চ ৪-৫ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়তে পাড়ে। ডিম ছাড়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাচ্চা বের হয়। প্রথম দিকে এসব বাচ্চা স্বল্প পানির চরগুলোতে থাকে সাধারণত। গত বছর জেলায় মোট ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিকটন। যা দেশের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৩৩ ভাগ। এবছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার টন। সঠিকসঠিক রক্ষাণা-বেক্ষণের মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাই মা ইলিশ রক্ষায় সবাইকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন