সুনামগঞ্জের ছাতকে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গসহ পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাতক থানার উপ-পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে গত ৫ অক্টোবর ১৮জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী, ছাতক থানার উপ-পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন জানান, ঘটনার সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আমরা দোলারবাজার ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামে মার্ডার হয়েছে এইটা শুনে সেখানে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পথে জাউয়াবাজারে সংঘর্ষে হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করি কিন্তু তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৭৫ রাউন্ড শর্টগান কার্তুজের ফাঁকা ফায়ার ও ২২ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজনরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল, কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করেছে। এতে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমানসহ ৭ পুলিশ আহত হন।
অন্যদিকে, জাউয়া পূর্বহাটি ও কোনাপাড়ার ১৫০০ লোককে ওই এসল্ট মামলায় আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এসল্ট মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার আতঙ্কে দুই পাড়ায় পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ছাতক উপজেলার জাউয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও জাউয়া কোনাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর পুত্র জুনেদ আহমদের সাথে একই কলেজের ছাত্র ও জাউয়া পূর্বহাটি গ্রামের মৃত. আতাউর রহমানের ছেলে মাহতাব মিয়ার পূর্ব বিরোধ ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে জাউয়াবাজারের আকিল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে তাদের দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর দু’পক্ষই দুইদিকে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে দুই কলেজ ছাত্রের পক্ষ নিয়ে রাত ৮টায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জাউয়াবাজারের রাস্তার উপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ইট-পাটকেল ও কাঁচের বোতল নিয়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আড়াইঘণ্টা ব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো জাউয়াবাজার এলাকাই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে পুলিশ, পথচারীসহ উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন