ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে ৭ বছরের এক শিশু অপহরণ করে ফোনে মুক্তিপন হিসেবে তার মাকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে অপহরণকারী। পরে র্যাব অপহরণের ৩ দিন পর অপহৃতকে উদ্ধার ও একজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার শফিকুল ইসলাম (৩৬) কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানা এলাকার আয়নুল হকের ছেলে। গতকাল র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে সকালে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী শফিকুলকে গ্রেফতার ও অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত শিশু আরাফাত তার গার্মেন্টসকর্মী মায়ের সাথে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত। তারা রাজবাড়ী জেলার বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিশুটির মা একজন গামের্ন্টস কর্মী এবং স্বামী পরিত্যাক্তা। গ্রেফতারকৃত শফিকুলের সাথে ৬ থেকে ৭ মাস পূর্বে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের ফলে নিয়মিত বাসায় যাতায়াতও ছিল। এরই এক পর্যায়ে শফিকুল শিশুটির মাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তখন শফিকুলের পূর্বের স্ত্রীর কথা জিজ্ঞেস করলে তাকে ডিভোর্স দিয়েছে বলেও জানায়।
শিশুটির মা গত ১২ সেপ্টেম্বর শফিকুলের বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে দেখে তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে, দেখে বিয়েতে রাজি নয় জানিয়ে দেয় জানিয়ে দেয়। তারপরও শফিকুল বিয়ের জন্য বিভিন্নভাবে রাজি করার চেষ্টা করতে থাকে। এতে রাজি না হলে গত রবিবার শফিকুল ওই নারীর সাত বছরের সন্তান আরাফাত হোসেনকে আইসক্রিম কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে অপহরণ করে।
শিশুটির মা রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় এসে ছেলেকে দেখতে না পেলে শফিকুলরে মোবাইলে কল করলে জানায় সে আরাফাতকে অপহরণ করেছে। তাকে বিবাহ করে এবং নগদ এক লাখ টাকা প্রদান করলে আরাফাতকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দিবে অন্যথায় মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে শিশুটির মা র্যাব-৪ এর অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ করলে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল র্যাব-১৩ এর সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন