বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাজবাড়ী বøাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতির দুই শিশু সন্তান এবং পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি ও মহিলা দল নেত্রীরা।
গতকাল সকাল ৯টায় সোনিয়া আক্তার স্মৃতির রাজবাড়ী শহরের ৩নং বেড়াডাঙ্গার বাসায় যান ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুন রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদা আক্তার, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন, জেলা বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল আলমসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় স্মৃতির পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়াসহ সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পরে সকাল ১০টার দিকে স্মৃতির বাসায় যান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খান, সহ-সভাপতি সাবেক এমপি নেওয়াজ হালিমা, রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা পরিবারের খোঁজখবর নেওয়াসহ আর্থিক সহযোগিতা করেন। পরে স্মৃতির পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা সহ তার পাশে থাকার অঙ্গীকার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কট‚ক্তি করার অভিযোগের মামলায় রাজবাড়ী থানা পুলিশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী ও রাজবাড়ী বøাড ডোনার্সের প্রতিষ্ঠা সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে রাজবাড়ী শহরের ৩নং বেড়াডাঙ্গা এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। গত বুধবার রাজবাড়ী সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামের মৃত আখতার উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের রাজবাড়ী জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. সামসুল আরেফিন চৌধুরী।
মামলার বাদী মো. সামসুল আরেফিন চৌধুরী অভিযোগে বলেন, সোনিয়া আক্তার স্মৃতি তার নামীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কট‚ক্তিমূলক ও কুরুচিপূর্ণ পোস্ট প্রচার করে। এতে প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন ও মানহানী হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন