আগামী ১০ অক্টোবর জোরা লাগতে পাড়ে শীতলক্ষ্যার দুই তীরের মানুষের স্বপ্ন। সবকিছু ঠিক থাকলে সেদিনই শেষ হতে পারে দীর্ঘ দিনের অপেক্ষায় প্রহর। খুলে দেওয়া হতে পারে স্বপ্নের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু (বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু)।
সেতুটির উদ্বোধনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে সেখানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, উপসচিব মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. ইসমত আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোসম্মৎ রহিমা আক্তার।
জেলা প্রশাসন মো. মঞ্জুরুল হাফিজ সাংবাদিকদের জানান, আগামী ১০ অক্টোবর তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর উদ্বোধন হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার জানান, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির উদ্বোধন করবেন। সেতুটির নামকরণ করা হবে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু’ হিসেবে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু প্রকল্পের অনুমোদন হয়। সে সময় সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩৭৭ কোটি টাকা। তখন বলা হয়, এ সেতুর জন্য সৌদি উন্নয়ন তহবিলের (এসএফডি) ঋণ দেবে ৩১২ কোটি টাকা, বাকি টাকা সরকারের। ২০১৩ সালের মধ্যে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এই প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ দিতেই লেগে যায় সাত বছর। এ কারণে প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়াতে হয়েছে।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাত ফেরদৌস, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিএম কুদরত-এ-খুদা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সেতুটি চালু হলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। তখন দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহনগুলোকে নারায়ণগঞ্জ শহরে না ঢুকে মদনপুর হয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে যেতে পারবে। একইভাবে পদ্মা সেতু হয়ে আসা যানবাহনগুলো তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু পার হয়ে মদনপুর দিয়ে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে যেতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন