রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শেকৃবির ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি : আটক ৯

| প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শেকৃবি সংবাদদাতা : রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উন্নতমানের বøুটুথ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নোত্তর আদান-প্রদানকালে ৯ পরীক্ষার্থীকে পৃথক পৃথক কেন্দ্র থেকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই জালিয়াতির সাথে কারা জড়িত তা তদন্ত করার জন্য পরীক্ষার্থীদের সাথে থাকা ডিভাউসসহ র‌্যাব-২ এর কাছে সোপর্দ করে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে শেকৃবিসহ মোট ১৫ টি কেন্দ্রে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলকালীন সময়ে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মোট ৯ জনকে ডিভাইসসহ আটক করা হয়। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আটক পরীক্ষার্থীরা হলেন, মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২ শিক্ষার্থী-কৌশিক রায়, রোকেয়া খাতুন, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে সাদমান শাহরীজ, লালমাটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে হাসিবুল হাসান, মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট থেকে শাহমুন নাকিব, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে তানিয়া সুলতানা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নুরু মোহাম্মদসহ আমির হামজা ও খন্দকার আল মামুনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ডিভাইস পাওয়া যায়। মোবাইলের ব্যাটারির মতো দেখতে যার ওপরে মাস্টার কার্ডের সিল দেয়া জামার মধ্যে পাওয়া যায় এবং একটি ছোট পিনের মতো বস্তু যা কানের মধ্যে ছিল। আটক শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, কারো নিজের বন্ধু, কারো ভাইয়ের বন্ধু কিংবা দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন চক্রের খবর পান। গতকাল তাদের হাতে চক্রগুলো একটি ডিভাইস পৌঁছে দেয়। চুক্তি অনুযায়ী তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঐ জালিয়াতি চক্রের হাতে তুলে দেয়। তবে প্রত্যেকেই বলে তাদের ভর্তির পরে টাকা দেয়ার কথা ছিল। প্রত্যেকের সাথে ৩-৪ লাখ টাকার চুক্তি হয়। গত বছরও অত্র বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতে একই ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। কিন্তু এর সাথে জড়িত মূল হোতাদের ধরা যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী সাংবাদিকদেরকে বলেন, পরীক্ষায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও ফোন নিষিদ্ধ থাকা সত্তে¡ও শিক্ষার্থীরা ডিভাইসের মাধ্যেমে উত্তরপত্র সংগ্রহ করা চেষ্টা করেছিল। তাই আমরা ৯ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করেছি। এদের কাছ থেকে অনেক মূল্যবান তথ্য পাওয়া গেছে। এর সাথে জড়িত মূল হোতাদেরকে ধরার জন্য র‌্যাব-২ এর কাছে ডিভাইসসহ পরীক্ষার্থীদেরকে সোপর্দ করেছি এবং সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বলেছি।
এ বিষয়ে র‌্যাব-২ এর এএসপি মো. সহিদার রহমান বলেন, আমরা আটককৃত পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব এবং এই জালিয়াতির সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে ধরার চেষ্টা করবো। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি অনুষদে মোট ৫৪০টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২ শত ৬৫ জন প্রতিযোগী। প্রতি আসনের বিপরীতে গড়ে ৫৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ১৫টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলাফল প্রকাশিত হবে ২৩ ডিসেম্বর মধ্যে এবং মূল মেধা তালিকা থেকে ভর্তি ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর। ক্লাস শুরু হবে ০৫ জানুয়ারি। বিস্তারিত বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট িি.িংধঁ.বফঁ.নফ থেকে জানা যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন