আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি লিয়াজোঁ করে ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অভিযোগে বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির ৪ নেতাকে শোকজ করে ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইস্যুকৃত শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
যে ৪ জনকে শোকজ করা হয়েছে তারা হলেন, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, নিশিন্দারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম সরকার, লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আপেল মাহমুদ ও সাবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন সরকার।
শোকজ প্রাপ্ত ৪ জনেই বগুড়া সদরের অন্তর্ভুক্ত ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ যথাক্রমে এরুলিয়া, নিশিন্দারা, লাহিড়ীপাড়া ও সাবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলের মনোনয়নে নির্বাচিত হলেও তারা সরাসরি বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিকের সাথে লিয়াজোঁ রক্ষা করে সরকারের পিআইসি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থলোপাটের সাথে জড়িত।
সম্প্রতি সরকারি টাকার সীমাহীন লুটপাটে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে বিএনপির টিকেটে নির্বাচিত এই ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকের পক্ষ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পালের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট লাইনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নামলে দলে তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিপুল অর্থশালী হওয়ায় বগুড়া জেলা বিএনপির গুটিকয়েক সিনিয়র নেতার পৃষ্টপোষকতায় পার পেয়ে যান। আসন্ন বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়া সদর আসনের সদস্যপদ প্রার্থী ও বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম রাজের নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি অংশ নিলে বগুড়া বিএনপির সিনিয়র নেতাদের টনক নড়ে।
যে নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে প্রচারণার ছবি সামাজিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে লজ্জায় পড়ে যায় বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দগণ। ফলে কেন্দ্র এবং তারেক রহমানের ভয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা, যুগ্ম আহ্বাবায়ক অ্যাড. সাইফুল ইসলাম এবং মোশারফ হোসেন এমপি স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাদের ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি বগুড়া জেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন