রাজবাড়ী আদালতে প্রক্সি হাজিরা দেওয়ার ঘটনায় অবশেষে রাজবাড়ী সদর থানায় আইনজীবীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন রাজবাড়ী সদর থানার এস আই মো. হুমায়ন রেজা। মামলার আসামীরা হলেন, প্রক্সি হাজিরা প্রদানকারী পাংশা পৌর শহরের পারনারায়নপুর গ্রামের অশান্ত চন্দ্রের ছেলে বিজন কুমার হালদার, যার প্রক্সি দিতে আসে একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন শেখ ওরফে রিয়াজ মেম্বারের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম মুন্নু, মহুরী সত্যজিৎপুর গ্রামের মীর আবু সাঈদের ছেলে আশরাফুল আলম পলাশ, নারায়ণপুর কলেজপাড়া এলাকার মো. জমির মোল্লার ছেলে রাজবাড়ী বারের অ্যাডভোকেট জাহিদ উদ্দিন মোল্লা ও একই গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে রাজবাড়ী বারের অ্যাডভোকেট একেএম শহিদুজ্জামান। জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল জালাল উদ্দিন বিশ^াসের দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা যুবলীগের বহিস্কৃত আহ্বায়ক ফজলুল হককে প্রধান করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ফজলুল হক ও তাজুল ইসলাম জামিনে থাকেন। মামলায় ৭ নম্বর আসামী ছিলেন রবিউল ইসলাম ওরফে মুুন্নু। গত ২৮ জুলাই মামলার ৫ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় মুন্নুর পরিবর্তে আদালতে হাজির হন বিজন কুমার হালদার। আদালতের বিচারক জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিজন কারাগারে প্রথমে রবিউল ইসলাম বলেই নিজেকে পরিচয় দেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তিনি সত্যতা স্বীকার করেছেন। মামলার বাদী জালাল উদ্দিন বিশ^াস বলেন, আমি ওই সময় সংশ্লিষ্ট আদালত কক্ষে ছিলাম। বিজনকে কাঠগড়ায় দেখেছিলাম। ভেবেছি আরেক জালালের দায়ের করা মামলা। কারণ আমার মামলায় বিজন আসামী ছিল না।
রাতে প্রশাসনের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে, বিজন আমার দায়ের করা মামলায় প্রক্সি দিতে গিয়েছিল। তার জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার বাদী এসআই হুমায়ন রেজা বলেন, বিষয়টি আমার উপর তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। তার প্রেক্ষিতে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছি। রাজবাড়ী সদর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন