মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতীয়ান গ্রামে পৃথক কাজী অফিসে গিয়ে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে এক প্রবাসী যুবককে বিয়ে করেছে দুই বান্ধবী। পাত্র প্রবাসী মিজানুর রহমান গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ছাতীয়ান গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে। দুই পাত্রী হলেন উপজেলার বামন্দী ইউপির নিশিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে আছিয়া খাতুন ও একই এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে সাথী আক্তার।
এদিকে বামন্দী ইউপি নিকাহ রেজিস্ট্রার খাদেমুল ইসলাম ও মটমুড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মনজুর আহমেদ দুই বান্ধবীর সঙ্গে একজনের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, আমি আছিয়াকে খুব ভালোবাসি। আছিয়ার সঙ্গে আবার সংসার করতে চাইলে সে ও সাথী মিলে আমাকে প্রস্তাব দেয় তাদের দুই বান্ধবীকেই বিয়ে করতে হবে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচ হাজার টাকা নগদ দেনমোহরে দুই কাজী অফিসে গিয়ে প্রথমে আছিয়াকে ও পরে সাথীকে বিয়ে করি। আছিয়ার বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থেকেছে সাথী আর সাথীর বিয়ের সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থেকেছে আছিয়া।
তিনি আরো বলেন, বিয়ের দিন বিকেলে দুইজনই একসঙ্গে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে আমার বাড়িতে অবস্থান করে। এর একদিন পর দুইজনই আবার নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। বতর্মানে আমার দুই স্ত্রী তাদের মায়ের বাড়িতে অবস্থান করছে।
এদিকে আছিয়া ও সাথী জানান, তারা দুই বান্ধবী ছোটবেলা থেকে বোনের মত বড় হয়েছে। এক স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান।
এ বিষয়ে আছিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, আছিয়া ও মিজান দুইজনে বিয়ে করবে বলে আমাকে জানিয়েছিলো। আমি তাতে সমর্থনও দিয়েছিলাম। মিজানকে একজনের সঙ্গে সংসার করতে হবে, তা আছিয়া হোক অথবা সাথী। সাথী আক্তারের মা বলেন, মিজানকে যেকোনো একজনের সঙ্গে সংসার করতে হবে।
এদিকে ওয়ার্ড নিশিপুর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহ আলম জানান, এ দুই বান্ধবী এখন আলোচনার শীর্ষে। দুই বান্ধবীর পরিবার এই বিয়ে মেনে নিতে নারাজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন