শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সীমান্তে গোলাগুলি : ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

কক্সবাজার ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সরকারি বাহিনী ও সশস্ত্র আরাকান আর্মীর মধ্য প্রচন্ড লড়াই অব্যাহত রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দু’মাস ধরে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাত ৩টা থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং সীমান্তে আরাকানে ভয়াবহ গুলাগুলি ও মটার শেল নিক্ষেপের শব্দ শুনা গেছে। এতে করে সীমান্ত জনপদের মানুষ ওই রাতে নির্ঘুম এবং আতঙ্কিত হয়ে সময় কাটিয়েছে।

আরাকানের মংডু টাউনশীপ পর্যন্ত মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সাথে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের বিস্তার ঘটায় এই গুলাগুলির শব্দ বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের মতে আরাকানের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কুন্ডুলি পাকিয়ে ধুঁয়া উঠতে দেখা গেছে। এগুলো বিদ্রোহী অথবা সরকারি বাহিনীর কোনো স্থাপনায় আগুন দেয়ার দৃশ্য বলে মনে করা হচ্ছে। গত দুই মাস ধরে এই সংঘর্ষ চলে আসছে। তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে সংঘাত শুরু হলেও এখন তা গোটা আরাকানে বিস্তার ঘটেছে বলে সীমান্তের বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে। সীমানা পেরিয়ে ওপারের ছোড়া মর্টারশেল, গোলাবারুদ এপারে এসে পড়েছে। এছাড়া হেলিকপ্টারও এপারে সীমানা লঙ্ঘন করেছে কয়েকবার। গতকাল সকালেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেউবুনিয়া ও টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকা থেকে ভারী অস্ত্রের ফায়ারের শব্দে কেঁপে ওঠে এই পরের সীমান্ত এলাকা। এদিকে সকালে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। পরে দুপুরে রেজুপাড়া বিওপিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া প্রতিটি গুলির হিসাব বিজিবির কাছে আছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, আকাশ সীমা অতিক্রমসহ প্রত্যেক ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তারা কূটনীতিকভাবে উত্তরও পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে। শিগগির ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

মিয়ানমার থেকে এপারে কেউ যেন ঢুকতে না পারে এ ব্যাপারে বিজিবির কড়া নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ বলেন, গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হবে। এছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়েও বৈঠকের মাধ্যমে সবকিছু উপস্থাপন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন