শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

১০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি বাতিল

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

চলতি মাসে অনুষ্ঠিতব্য বগুড়া জেলা বিএনপির সম্মেলন ও নির্বাচনকে ঘিরে দল ও দলের অঙ্গ সংগঠন সমুহের নেতা কর্মীরা ব্যস্ত ঠিক তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বাতিল হল বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি। দলটির জাতীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান স্বাক্ষরিত এক লাইনের একটি চিঠিতে কমিটি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। চিঠিতে দলের নতুন আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম শুভ ও সদস্য সচিব আবু হাসানকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়, ‹আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া গেল। হঠাৎ কেন কি কারণে কোন যুক্তিতে এই কমিটি বিলুপ্তি তা› নিয়ে দলটির নেতা কর্মিরা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। কেউ বলছেন নতুন আহ্বায়ক শুভ বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনের মামাত ভাই। রুমন তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেও পরিচিত। তিনি অনেকদিন ধরেই বগুড়া জেলা বিএনপির নড়চড়ের ঘটনায় হাত খেলান বলে চাউর রয়েছে। হয়তো তার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গিয়েই স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে এই রদবদল হয়েছে। কারো কারো মতে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিদ্যমান কমিটির মেয়াদ ৪ বছরে পৌঁছে গেছে। অথচ বিভিন্ন অজুহাতে সদ্য বিদায়ী আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল ও সদস্য সচিব সরকার মুকুল সম্মেলন করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন হয়তো সেই কারণে ত্যক্ত বিরক্ত হয়েই কেন্দ্র আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক নিযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে নব নিযুক্ত সদস্য সচিব আবু হাসান বর্তমানে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদেও রয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে তিনি কি একই সাথে দুটি পদেই দায়িত্ব পালন করবেন?

অনেকের মতে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক সাবেক জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল ও সদস্য সচিব সরকার মুকুলের মধ্যে শুরু থেকেই মনোমালিন্য ছিলো। অতি সম্প্রতি সেটা প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছিল একারণেও হয়তোবা কেন্দ্রের কাছে কমিটি বাতিল ছাড়া কোন বিকল্প ছিলোনা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য বিদায়ী আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, প্রায় ৪ বছর আগে ৩ মাসের মধ্যে জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের শর্তে তাকে আহ্বায়ক নিযুক্ত করা হয়।

নানান কারণ বাস্তবতায় সম্মেলন করতে পারিনি। তবে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি। নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন স্বাভাবিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। কোন ক্ষোভ আক্ষেপ নেই। তিনি আরও বলেন, সামনে জেলা বিএনপির কমিটি হবে আমাদের হয়তো সেখানেই কোন ভালো জায়গায় রাখা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন