মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম শাওন নিহতের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ আদালতে দায়ের করা মামলা খারিজ করা হয়েছে। গতকাল মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-১ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছাম্মৎ রহিমা আক্তার মামলার খারিজ আদেশ দেন।
গত ৬ অক্টোবর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট (আমলি আদালত-১) আদালতে করা বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান এর মামলার আবেদনের উপর আদেশের দিন ধার্য ছিল।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-১ এ কেন্দ্রীয় বিএনপি অফিসের মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলাটি দাখিল করেন। আদালতের বিচারক গতকাল মামলাটি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। মামলার বাদী ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য সালাউদ্দিন খান।
ওই মামলায় মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবসহ ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে ৪০ ধেতে ৫০ জন অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য ও আরো ২০০ থেকে ৩০০ জন সিভিল পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারী উল্লেখ করে মোট ৩৫৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
মামলার এজাহারে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশে ওসি তরিকুজ্জামান, এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন, মো. আরিফুর রহমান, সুকান্ত বাউল, এএসআই নকুল চন্দ্র ধর, অজিত চন্দ্র বিশ্বাস ও মন্টু বৈদ্যর নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মুক্তারপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতা কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এ সময় মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় মীরকাদিম পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাওন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। এর আগে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন সংবাদ সন্মেলনে দাবি করেন শহিদুল ইসলাম শাওনের মৃত্যু গুলিতে নয় মাথায় ইটের আঘাতে হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন