শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নেছারাবাদে হামলা করে মামলা দিতে এসে ফেসে গেল অভিযোগকারী

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৪:২৫ পিএম

নেছারাবাদে দলবল নিয়ে রামদা দিয়ে একজনকে কুপিয়ে ও আরো তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সোহাগ নামে এক কথিত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। পরে উল্টো থানায় মামলা করতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল সন্ত্রাসী সোহাগ নিজেই। পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোহাগ মিয়া প্রতিপক্ষের উপর ওই হামলা চালায়। সোমবার রাতে উপজেলার সোগদল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্রামুল ইসলাম বাবুলের বাড়ীর সামনে সড়কের ওপর ওই ঘটনা ঘটেছে। সোহাগের নেতৃত্বে ১০/১১ জনের সন্ত্রাসী দল ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে রাতেই উল্টো আহতের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিতে এসে পুুুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সন্ত্রাসী সোহাগ। সোহাগের হামলায় রামদায়ের কোপে জাহারুল ইসলাম(৪৭) নামে এক লোক গুরতর জখম হয়। এছাড়া, শহীদুল(৪০), জাহারুল (৪৩) এবং সাগরকে (৩৬) পিটিয়ে গুরতর জখম করা হয়।

এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহারুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অন্যান্য আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এব্যাপারে জাহারুল ইসলামের ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে ৮ জনকে নামীয় ও ২/৩ জনকে বেনামিয় আসামী করে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপর দিকে ঘটনার মূল হোতো সোহাগ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

বাদীর দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানাগেছে সোহাগের সাথে ওই এলাকার বিভিন্ন পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দন্ধ চলে আসছিল। একই ভাবে সাগরদের পরিবারের সাথে দন্ধ চলে আসছিল। ঘটনার সময় সাগর বাড়ী থেকে দোকানে যাচ্ছিল। বাবুল চেয়ারম্যানের বাড়ী সামনের সড়কে সোহাগ ও তার সহযোগীরা অটোতে করে এসে সাগরকে মারধর শুরু করে। এতে সাগরের হাত ভেঙ্গে যায়। সাগরের ডাক চিৎকারে বাদীসহ অন্যান্যরা ছুটে আসে। এসময় সোহাগ তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বাদীর ভাই জাহারুল ইসলামকে কোপ দিলে তার হাতে লাগে। এসময় সোহাগের সঙ্গীরা আরো তিনজনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। তিনি বলেন, সোহাগ দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার মানুষের সাথে হয়রানী মুলক কর্মকান্ড করে আসছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি আবীর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সোহাগ নিজে ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো থানায় এসে মামলা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে তাকে থানায় বসিয়ে রেখে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের পর মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন