নোয়াখালী শহরের মাইজদী বাজারে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় দুই আসামি ইয়াসিন আরাফাত লাদেন ও পিয়াস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলার জোষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ পিয়াসের এবং জোষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মো. ইকবাল হোসাইন লাদেনের জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন ।
এর আগে এ মামলায় গ্রেপ্তার ৫ আসামি বোরহান উদ্দিন রাকিব (২২),আশরাফুল ইসলাম (১৯) পিয়াস, আরিফুল ইসলাম (১৬), শাহিদ আলম রিমন (১৬) ও ইয়াছিন আরাফাত লাদেনকে (১৯)। নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিন আসামি রিমন, রাকিব ও আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। বিচারক এ বিষয়ে পরবর্তীতে শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য্য করেন। পরে ৫ আসামিকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর মহল্লার শাহাজাহানের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে। পরে একই দিন দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ৪আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিহত মো.জোবায়ের (১৮) বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিন নগরের কাজী বাড়ির কামাল উদ্দিনরে ছেলে এবং নোয়াখালীর সোনাপুর আইডিয়াল পলিটেকনিক্যালের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। তারা নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর মহল্লার শাহাজাহানের বাসায় ভাড়া থাকত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার সকালের দিকে জোবায়েরের সঙ্গে স্থানীয় রাকিব ও পিয়াসের ছোট ভাই আরিফুল ইসলামের (১৬) সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে জোবায়েরকে তার বন্ধু লাদেন মুঠোফোনে বাসা থেকে ডেকে নেয়। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের ৮-১০জন সদস্য রাকিবের নেতৃত্বে জোবায়েরকে তার বাসার সামনে রাস্তায় বেধড়ক পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করে। এতে জোবায়ের গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে মাইজদী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লায় তার মৃত্যু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন