বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ছাতক সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি: দূর্ভোগ চরমে

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৮:০৯ পিএম

সুনামগঞ্জের ছাতক সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়সহ ৩টি সরকারির দপ্তরে জমেছে পানি। মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা কয়েক ঘন্টা বৃষ্টির ফলে এখানে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সেবা নিতে আসা মানুষ পড়েন চরম দূর্ভোগে।

সরজমিন সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যবহারে অনুপযোগি জরাজির্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা কয়েক ঘন্টা বৃষ্টিতে কার্যালয়ের প্রতিটি কক্ষে প্রায় হাটু পরিমানে পানি জমে। কার্যালয়ের বারান্দা ও আঙিনায় জমে আছে পানি। এ পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কার্যালয় ঘিরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভবনের ছাদ ছূঁয়ে গড়াচ্ছে পানি। ভবনের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে ঘিরে রেখেছে বনের লতা-পাতা। ছাদ ছুঁয়ে পানি গড়াচ্ছে পানি। এ পানি পড়ে দলিলাদি ফাইলপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভবনে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় ছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়। সব কার্যালয়গুলো পড়েছে জলাবদ্ধতার কবলে। পাশের ভবনে রয়েছে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়। এ কার্যালয়ে ইটের ওপর ভর করে যাতায়াত করতে হয়। জলাবদ্ধতা, ময়লা যুক্ত পানি, আর ময়লা আবর্জনা দূর্গন্ধে নাকাল সাব-রেজিস্ট্রার ভবন ও আশপাশ এলাকা। এ কারণে সেবা নিতে আসা মানুষজন চরম দূর্ভোগে পড়েন।

সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা সৈদাবাজের ফরহাদ মিয়া, মুক্তিরগাঁও গ্রামের হুশিয়ার আলী, বেতুরা গ্রামের শফিক মিয়াসহ অনেকেই বলেছেন, সামান্য বৃষ্টি পাতে এখানে পানি জমে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা বর্ষনে ভবনের বারান্দায় প্রায় হাটুপানি ও মাঠের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমানে পানি জমেছিল। এ পানি বৃষ্টির। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। প্রতিটি রুমে রুমে জমে ছিল পানি। জলাবদ্ধতা, ময়লা-আবর্জনা যুক্ত পানিতে সীমাহীন দূর্গন্ধ।

ভূইগাঁও গ্রামের আবদুল আউয়াল, বেরাজপুর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত বাংলাদেশ পুলিশের কামরুল ইসলাম (পিপিএম), কালারুকা গ্রামের মছব্বির আলীসহ সেবা নিতে আসা একাধিক লোকজনরা জানান, সকালে প্রচুর পরিমানের বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টির পানি ভবনটির প্রতিটি রুমে ও বারান্দায় ছিল। মাঠেতো জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। এ কারণে দুপুর পর্যন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দলিল রেজিস্ট্রার কার্যক্রম অব্যাহত ছিল বলে তারা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, জরাজির্ণ ভবনে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়টি স্থানান্তরের জন্য এখানের সাব-রেজিস্ট্রার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিনিধিদল এখানে সরজমিন পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধিদল স্থানীয় রহমতভাগে একটি দ্বিতল ভবনে সাব-রেজিস্ট্রারের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ভবন মালিকের সাথে ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত করেন।

ছাতক সাব-রেজিস্ট্রার আয়েশা সিদ্দিকা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সকালে প্রতিটি কক্ষে পানি জমেছিল। তার রুমেও ছিল প্রায় হাটু পরিমান পানি। যে কারণে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কার্যক্রমে ব্যঘাত ঘটে। পানি কিছুটা নামার পর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিনি কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। প্রায় ৭১টি দলিল রেজিস্ট্রার করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন। জলাবদ্ধতায় কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কষ্ট করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি আরও বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যবহারে অনুপযোগি জরাজির্ণ সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়টি দ্রুত স্থানান্তর করা হবে। তবে গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি নির্দিষ্ট হলে ভবনের মালিকের সাথে ভাড়ার চুক্তিনামা সম্পাদন সাপেক্ষে স্থানান্তরের বিষয়টি চুড়ান্ত হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন