কক্সবাজারের উখিয়ায় বন বিভাগের সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে প্রায় ২ একর জমিতে আমন চাষ করেছে উখিয়া রাজা পালং ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শাহজাহান। এবং চতুর্পাশ্বে ঘেরা দিয়ে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী হত্যার হাই ভোল্টেজ ইলেক্ট্রিক তার দিয়ে ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী সফিউল আলমের নেতৃত্বে সকাল ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে স্থাপিত বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হাতিসহ বন্যপ্রাণী মারার ফাঁদের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করেন।
সাবেক ওই মেম্বারের রোপিত জমিকে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রানী থেকে রক্ষার নামে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পুরো ধানী জমি বিদ্যতের ছেঁড়া তার দিয়ে ঘেরাও করে রেখা হয়। যা মারাত্মক ভয়ংকর মানুষ, হাতি, বন্যপ্রাণি ও অন্যান্য পশু পাখির জন্য। বিদ্যুতের উন্মুক্ত তারের সংস্পর্শে মানুষসহ যেকোন বন্যপ্রাণী গেলে সাথে সাথে বিদ্যুৎ স্পর্শ হয়ে মারা যাবে। এহেন জঘন্য মরণ ফাঁদ সৃষ্টি করে তিনি দেশের প্রচলিত আইন, বনভুমি ও বন্যপ্রাণী রক্ষা আইনের মারাত্মক লংঘন করেছেন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী সফিউল আলম বলেন, ' দীর্ঘদিন ধরে এলাকার চিহ্নিত রাজাপালং ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শাহ জাহানের নেতৃত্ব একটি সিন্ডিকেট হরিণমারা এলাকা ও আশেপাশে বনবিভাগের জায়গা জবরদখল করে বিক্রি, অবৈধ বালু উত্তোলন, পাহাড়কাটা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে দৌছড়ি বিটের জাগিরশার কাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধান চাষের চারপাশে বিদ্যুৎ তার দিয়ে হাতি ও বন্যপ্রাণী মারার ফাঁদ বসানো বিদ্যুৎ তার, পরিত্যক্ত একটি ঘর, বিদ্যুৎ বিছিন্ন করণ ও বনবিভাগের জায়গায় জবরদখলের ঘেরা উচ্ছেদ করা হয়৷ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত বন ও বন্যপশু সংরক্ষণ আইনে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।
উক্ত অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন, দৌছড়ি বিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র, সদর বিট কর্মকর্তা বজলুল রশিদ, থাইংখালি বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসাইন রাজু সহ অনেকে।
এদিকে অনেকের মতে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জোগ সাজসে এই অপকর্ম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন