মেয়াদোত্তীর্ণ বগুড়া বিএনপির বহুল প্রতিশ্রুত জেলা সম্মেলন ও গোপন ব্যালটে নির্বাচন চলতি অক্টোবরে যে হচ্ছেনা সেটি এক প্রকার নিশ্চিত। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত দলের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল সম্মেলন ও নির্বাচন চলতি মাসের ২৯ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যেই তারেক রহমানের কাছ থেকে নেওয়া অনুমতি সাপেক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
বগুড়া জেলা বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সম্মেলনের বিষয়টি স্কাইপি’র মাধ্যমে তারেক রহমানের কাছে অনুমতির জন্য উপস্থাপন করা হলে তিনি ভোটার তালিকা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নাম জানতে চান। উপস্থাপকরা সেটি দুই এক দিনের মধ্যে জানানো হবে বললে তিনি স্কাইপি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জানান, আগামী ৩ নভেম্বর সম্ভাব্য তারিখ ধরে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তবে তিনি আরো বলেন, ৩ নভেম্বর যেহেতু জেল হত্যা দিবস। সে কারনে ওইদিনও সম্ভবত সম্মেলন হবে না। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
একাধিকবার চেষ্টা করেও রেজাউল করিম বাদশার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে আসন্ন সম্মেলন ও নির্বাচনে জেলা বর্তমান আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা নিজেই সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা দেওয়ায় দলের মধ্যে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বলছেন, এতদিন ধরে জেলার ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌর কমিটির সভাপতি, আহ্বায়ক ও সম্পাদক কাউকেই নির্বাচন করতে দেননি বাদশা। সবাইকে তিনি পরিস্কার করে বলেছিলেন, পদে থেকে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না। দলীয় সংবিধানের দোহাই দেওয়ায় সবাই তা মেনেও নেন।
এখন আহ্বায়ক পদে থেকেও কিভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিতে পারেন রেজাউল করিম বাদশা। একই সাথে তিনি বগুড়া পৌরসভার মেয়রও বটে! বিষয়টি নিয়ে দলের অভ্যন্তরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলছেন, বগুড়া বিএনপির নিয়ন্ত্রক তারেক রহমান দেশের বাইরে থাকায় বগুড়া বিএনপি চলছে যাচ্ছেতাই ভাবে।
বগুড়া জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন জেলা সম্মেলনে দলের সভাপতি পদে ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল ও জয়নাল আবেদীন চান এবং বর্তমান আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা প্রার্থী হবেন। অপরদিকে মোশাররফ হোসেন এমপি, আলী আজগর তালুকদার হেনা এবং এম আর ইসলাম স্বাধীন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এছাড়া হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মাহিদুল ইসলাম গফুর ও আব্দুল আজিজ হিরা সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। সবাই চাচ্ছেন দ্রুত নির্বাচন ও সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপি মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বদনাম থেকে মুক্ত হোক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন