নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামে সরকারী ম্যাপের রাস্তায় সুপারী গাছ রোপন করার বিরোধের জেরে ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন নুরল ইসলামের পুত্র ছলেমান আলী (৩৬), আব্দুল জব্বার (৪০), আইয়ুব আলী মাষ্টারের পুত্র জিয়াউর রহমান (৩৮), মৃত: মনছুর আলীর পুত্র আইয়ুব আলী মাষ্টার (৫৫), শাহ্ আলমের পুত্র রশিদুল ইসলাম (৩৮), ইউ.পি সদস্য সাহেব আলীর পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান আলো (সাংবাদিক) (৩৬)। স্থানীয়রা আহতদের গুরুত্বর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে তিন জনের আশংকাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং বাকী তিন জন ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অত্র ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব খড়িবাড়ী মেম্বার পাড়া সরকারী ম্যাপের রাস্তা দিয়ে প্রায় ৩০/৩৫টি পরিবার যাতায়াত করে। গত ৩/৪ দিন পূর্বে মোতালেব ও সোহরাব হোসেনের নির্দেশে রাস্তাটিতে সুপারী গাছ রোপন করে যাতায়াতের বিষœ ঘটায় মোশারফ হোসেন, আঃ সামাদ, আলতাফ হোসেন, রুবেল সহ আরো ১০/১২ জন। বেশ কিছু দিন ধরে রাস্তার বিষয় লইয়া বিরোধ চলছিল। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ী ফেরার পথে আব্দুল জব্বার সহ তার লোকজনকে গুরুত্বর আহত জখম করে। এ বিষয় টেপাখড়িবাড়ী ইউ.পি চেয়ারম্যান মো: মইনুল হক সংবাদকর্মীকে বলেন- রাস্তার গাছ রোপনের ব্যাপারে আমাকে জানাইলে আমি উভয় পক্ষকে আগামী ১৭ অক্টোবর-২০২২ তারিখের পরে স্থানীয়ভাবে আপোষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তুু হঠাৎ জানতে পারলাম দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয় আব্দুর রউফ বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন