কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। একাধিক বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একই রুম শেয়ার করে পাঠদান করছেন। অথচ, প্রত্যেক বিভাগে পাঁচটি ব্যাচ চলমান থাকলেও সেই তুলনায় শ্রেণিকক্ষ রয়েছে দুটি বা তিনটি। তাছাড়া ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির পর এ সঙ্কট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৬টি অনুষদ, ১৯টি বিভাগ। শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতার কারণে এক সেমিস্টারের ক্লাস শেষ হতে না হতেই অন্য সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা ঐ ক্লাসরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। এতে ক্লাস রুমে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনসংযোগে যেমন ব্যাঘাত ঘটে, তেমনি দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাও অস্বস্তি বোধ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদ ভবনে রয়েছে বাংলা ও ইংরেজি ২টি বিভাগ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ রয়েছে অর্থনীতি, লোক প্রসাশন, নৃ-বিজ্ঞান, প্রত্নতত্বসহ মোট ৪টি বিভাগ। এই ৬টি বিভাগেই রয়েছে তীব্র শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে ৫টি বিভাগের প্রাকটিক্যাল ক্লাসের সময় তীব্র সমস্যায় পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। এক ব্যাচের প্র্যাকটিকাল থাকলে আরেক ব্যাচ ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। অনেক সময় ক্লাস শিডিউল থাকলেও বাতিল করতে হয় ক্লাস। ফলে নিয়মিত ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বিঘ্ন ঘটছে। প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও শ্রেণিকক্ষ সংকটের বিষয়ে কুবি কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। সর্বোপরি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনের দৃষ্টি আর্কষণ করছি যেন, শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট নিরসনের উদ্যোগ নেয়ার।
মো. তোফাজ্জল হোসেন
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন