বরগুনার তালতলীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকাকে জিম্মায় রাখার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাশ উদ্ধার করা হয় কিশোরী প্রেমিকা মারুফা আক্তারের। গতকাল তালতলী উপজেলার বেথিপাড়ায় নিজ বাড়ির পুকুর পাড় থেকে মারুফার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মারুফার পরিবারের দাবি নির্যাতন শেষে হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, তালতলী উপজেলা ছোটবগী ইউনিয়নের বেথিপাড়া গ্রামের মৃত হানিফ হাওলাদারের মেয়ে মারুফার সাথে পাশ্ববর্তী ঠংপাড়া এলাকার সুলতান পহলানের পুত্র হৃদয় পহলান এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় হৃদয় ও মারুফাকে ঠাংপাড়া এলাকায় একটি বাগান থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পরে উভয়কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় হৃদয়ের বাড়িতে চাচা সোনা মিয়া ও বড় ভাই সোলায়মানের জিম্মায় দেয়া হয়। মারুফার ছোট বোন সকালে বাড়ির পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দেওয়ার জন্য গেলে বড়বোনকে পুকুর পাড়ে শুয়ে থাকতে দেখে ডাকাডাকি করলে না উঠায় বাড়ির লোকজনকে ডেকে আনে। পুলিশ কে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই জিম্মাদার হৃদয়ের চাচা সোনা মিয়া ও ভাই সোলেয়মান হোসেনসহ তাদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।
মারুফার ছোট বোন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বড় আপুর ফোনে কল আসে। তার পরে আমাকে মামার বাড়িতে রেখে আসেন। সকালে পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দিতে গেলে আপুর লাশ দেখে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এছাড়া আমি কিছুই জানি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এনায়েত পেয়াদা বলেন, বৃহস্পতিবার ঠংপাড়া বাগান থেকে সন্ধায় উভয়কে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে প্রেমিক হৃদয়ের বাড়িতে তার চাচা সোনামিয়া ও বড় ভাই সোলেমান এর কাছে মেয়েকে রাতে জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হৃদয়ের স্ত্রী ও একটি সন্তান রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনাস্থলে পিবিআই ও সিআইডি টিম এসেছে। তারা তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে বলা যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হৃদয় নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন