বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২ উপজেলার সব সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য ভতিকৃত রোগীদের পথ্যের ব্যয় ১২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা করল সরকার। এরফলে সারা দেশের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে রোগীরা কিছুটা হলেও উন্নত খাবার পাবেল বলে আশা করছেন চিকৎনাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা। শেষবারের মত ২০১৩ সালে সরকারী হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের দৈনিক খাবারের বরাদ্ধ ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৫ টাকা করা হয়েছিলো। যা সেনা সমথিত তত্বাধায়ক সরকারের আমলে ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা করা হয়। যা ২০০১-এর আগে এ খাতে বরাদ্ব ছিল শয্যা প্রতি ৫০ টাকা।
তবে এবার বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের মূল্য অনেক বৃদ্ধির ফলে দীর্ঘ ৯ বছর পরে হসপাতালের রোগীদের খাবারের জন্য ব্যায় বৃদ্ধি করল সরকার। ফলে এখন থেকে সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত একজন রোগী দৈনিক ১৭৫ টাকার খাবার পাবেন। গত সোমবার থেকে নতুন এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ১০ অক্টোবর এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে। মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে ‘স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত দেশের সকল সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নন কোভিড রোগীদের খাবার সরবারহের নিমিত্তে পথ্য বরাদ্দ বাবদ রোগী প্রতি দৈনিক ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা উন্নীত করনে সরকারী মঞ্জুরী জ্ঞাপন করা হলো’ বলে জানান হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, বরাদ্ধ বৃদ্ধির চিঠি পেয়েছি এবং তা কার্যকরও শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি তাতে এই বরাদ্ধ বৃদ্ধির খুবই জরুরী ছিলো । তবে রোগীপ্রতি ব্যায় মাত্র ৫০ টাকা বৃদ্ধির ফলে খাবারের মান আহামরি কোন পরিবর্তন না হলেও আগের চেয়ে মাছ, গোশতের সাইজ তথা পরিমান কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া খাবারের অন্যান্য আইটেমেরও পরিবর্তন ও বৃদ্ধি ঘটবে।
বতর্মানে প্রত্যেক রোগীকে প্রতিদিন সকালের নাশতা হিসেবে ৫ পিস পাউরুটি, ১টি ডিম, ১টি কলা ও পায়েস দেয়া হয়। দুপুরে পরিবেশন করা হয় ভাত, মাছ, সবজি ও ডাল। বিকেলে ছোট প্যাকেটের বিস্কুট এবং রাতের খাবারের তালিকায় থাকছে ভাত, মুরগির মাংস, সবজি ও ডাল।
তবে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ যেসব হাসপাতালে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী অছেন,সেখানে পথ্য সরবারহে নতুন করে জটিলতা সৃষ্ট হতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল মহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন