টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালমেঘা এলাকায় মৃত্যুর ৫বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান ৫৪শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। মৃত্যুর ৫বছর পর মৃত ব্যক্তি কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন এর বিচার চেয়ে সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী ফারজানা আলমের নিকট ২০সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন প্রয়াত ওই মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে নাজমুন নাহার। এ বিষয়ে ইউএনও আগামী ২৪ অক্টোবর শুনানীর দিন ধার্য করেছেন। ভুক্তভোগীরা জানান,তাদের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান বিগত ১৭/০৩/২০১৪খ্রিঃ মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুর ৫বছর পর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাকে জীবিত দেখিয়ে দলিল লেখক এম এ লতিফ মিন্টু(লাইসেন্স নং১৪২৭) ও আবু হানিফ মিয়া(লাইসেন্স নং (১০৫৪) প্রতারনা,জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিগত ২৫/০৯/২০১৯খ্রিঃ উপজেলার কালমেঘা মৌজায় ৫৪ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করেছে। যার দলিল নং২৬৭২/১৯। অভিযোগকারী নাজমুন নাহার বলেন,আইনগতভাবে যা হবে তাই মেনে নেবো। অভিযুক্ত এম এ লতিফ বলেন, জাল দলিলের সকল দায়ভার সৈয়দ আলাউদ্দিনের যা তিনি স্বীকার স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়েছেন। তবে আলাউদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিস সূত্রে জানা যায়, লিখিত অভিযোগ পেয়ে বাদী-বিবাদী সহ সখিপুর সাব রেজিস্টারকে আগামী ২৪ অক্টোবর ইউএনও কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এদিকে বিবাদী পক্ষ বাদী পক্ষকে জাল দলিলের ঘটনাটি আপোষ মিমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি ও বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফার দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন