খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সবগুলো ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন একই সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে মোবাইলফোনসহ সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করা, ইভিএম বুথে ভোটার ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়া এবং ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা.শেখ বাহারুল আলম এসব দাবি করেন।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. বাহারুল আলম খুলনা জেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও খুলনা বিএমএর সভাপতি। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে তিনি দাবিগুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ই-মেইল করেছেন বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. বাহার অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে ভোটারদের হুমকি প্রদান করছে। তারা ভোটারদের সঙ্গে করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাবে এবং তাদের উপস্থিতিতে ভোট প্রদান করতে হবে বলে হুমকি জারি রেখেছে। শক্তির এমন নগ্ন প্রয়োগ ও ভোটারদের হুমকি নির্বাচনের মাঠে এক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনে এসব আধিপত্য বিস্তার বন্ধ করা না গেলে কোনো ক্রমেই আগামী ১৭ অক্টোবরের জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি গত ৩ অক্টোবর খুলনা ক্লাবে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভা থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে তার রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভোটপ্রার্থনা, ভোটারদের নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে আসছেন। তিনি রাজনৈতিক মঞ্চ ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার -প্রচারণা ভোটার ও প্রার্থীদের কাছে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন। এতে ভোটাররা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এ সকল অনিয়মের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় প্রচুর কালো টাকার থাবা নির্বাচনকে জর্জরিত করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রমাণপত্র সহ অভিযোগ জানানোর পরও আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন