সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে সুরমা নদীর উপরে ১৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে সেতু। বহুদিনের স্বপ্ন এখন বাস্তবায়িত। সেতুটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। উদ্বোধন হলে ছাতক সহ দোয়ারাবাজার উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ লাখ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। খুলবে উন্নয়নের দ্বার। ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। এলাকার চাষাবাদকৃত সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রুত পৌঁছে যাবে। এতে অর্থনৈতিক ভাবে এখানকার কৃষকরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তের দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বাঁশতলা (হকনগর) সহ দর্শনীয় স্থানে পর্যটকরা দ্রুত আসতে পারবেন।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তখন ছিল বিএনপি সরকার। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের আওতায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
ছাতক সড়ক উপ-বিভাগের (সওজ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম আহমদ সিদ্দিকী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সেতু সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য দ্রুত কাজ চলছে। সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কের ভাঙা স্থানে ৫টি ভাগে ১০৮টি পানি নিষ্কাশনের জন্য রিং বসানো হচ্ছে। পরবর্তীতে এখানে স্থায়ী ভাবে কালভার্ট নির্মাণ হবে। সেতুর আশপাশে ভূমি মালিকদের সাথে কিছু জটিলতা রয়েছে, সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, এ সেতু চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এছাড়া উত্তর সুরমার প্রায় ৪ লাখ মানুষ এর যোগাযোগের দুর্ভোগ ঘুচবে। তিনি বলেন, স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় অন্যান্য রাস্তার ন্যায় এই নির্মাণাধীন সেতুর সংযোগ সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন এটির সংস্কার কাজ চলছে। কাজ সমাপ্ত হলেই আর কোনো জটিলতা নেই। সেতু থেকে বালিউরা হয়ে বাঁশতলা-হকনগর পর্যন্ত রাস্তাটি প্রশস্থ করা হবে। এতে বাঁশতলা হকনগর পর্যটন কেন্দ্রে যাতায়াতের সুবিধা বৃদ্ধিসহ এই এলাকায় চাষাবাদকৃত সবজি দ্রুত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন