তিস্তা প্রকল্পের কাজ দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে উত্তরাঞ্চলের দুই কোটি মানুষ। উত্তর জনপদের অস্তিত্ব রক্ষায় দ্রুত সময়ের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে নভেম্বরে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। গতকাল শনিবার রংপুর টাউনহলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে বর্ধিত সভায় পরিষদ নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোনো অপশক্তি তথা ভারত যেন বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীন সরকার আন্তরিক। নদীপাড়ের মানুষের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু করার আহ্বান জানান তারা। নেতারা বলেন, ৯ অক্টোবর চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং নীলফামারী ও লালমনিরহাটের ডালিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ও তিস্তার অববাহিকা পরিদর্শনে যান। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ এলাকার পরিবর্তন ঘটবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে এবং ২ দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় দ্রুত কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে। নেতারা আরো বলেন, তিস্তার মহাপরিকল্পনা নিয়ে যত উদ্বেগ থাকুক না কেন, এই অঞ্চলের মানুষের স্বার্থে প্রকল্প এগিয়ে নেওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে তিস্তাপাড়ের মানুষ ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। তারাও তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কর্মসূচির দাবি করেন। তারা বলেন, নভেম্বরে কাজ শুরু না হলে এ অশ্চলের সব মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শাফিয়ার রহমানসহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা নদী বাঁচাও আন্দোলনকারীরা। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন