রাত পোহালেই গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট। এবার কোটলীপাড়ায় ৪ নং ওয়ার্ডে শেষ মুহূর্তে ও মুখ খুলছেনা ভোটাররা। এদিকে নিরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন নির্বাচন বিশ্লেষকদের। তাদের মতে নিরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সম্ভাবনাও থাকতে পারে ভোটারদের মনের মধ্যে । দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ভোটাররা ততোই নিরব ভূমিকা পালন করছেন।কেউই মুখ খুলছেন না। এখন পর্যন্ত কোন ভোটারই কারো পক্ষে সরাসরি প্রচারণায় মাঠে নামছেনা।শুধু প্রার্থীরা যে যার মতো করে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন।
এদিকে নির্বাচন বিশ্লেষকরা তাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন ভোটাররা যখন নিরব ভূমিকা পালন করছেন, তখন বুঝতে হবে যে তারা হয়তো কারো চাপে অথবা কাঙ্ক্ষিত মূল্যায়ন না পেয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন,আবার যখন কোন প্রার্থীর কাছ থেকে অধিক সুবিধা পাবে তখন তাকে ভোট দিবে এছাড়া এমনও হতে পারে যে সময় মতো যোগ্য মনে করে পছন্দের প্রার্থীকে নিরব ভোট প্রদান করবে। কারণ বর্তমান নির্বাচনগুলোতে দেখা যায় কালো টাকার ছড়াছড়ি হয়ে থাকে, যার ফলে যোগ্য ব্যাক্তির মূল্যায়ন হয়না, অবৈধ টাকার জোরে অযোগ্য ব্যাক্তি নির্বাচিত হয় তখন এলাকাবাসীর কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। কালো টাকা বন্ধ করা না হলে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।নির্বাচন বিশ্লেষক মোতাহার হোসেন সরদার বলেন ভোটারদের নিরব থাকার কারণে হিসেবে দুইটা জিনিস পরিলক্ষিত হচ্ছে একটা হলো হয়তো কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত যথাযথ মূল্যায়ন পাননি,অথবা তারা কালো টাকার কাছে মাথা নতো না করে যোগ্য প্রার্থীকে নিরব ভোট প্রদান করে সততার প্রমাণ করবে।
এদিকে শেষ মুহূর্তে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলীম আহম্মেদ ( ভিপি) ছোটন। সারাদিন উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে উপজেলা পরিষদে এসে দিনের প্রচারণা শেষ করেন।
এসময় তার সাথে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারী কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নাজমুল সরদার চপল, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলীউজ্জামান জামির, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি মশিউর রহমান সহ উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এ নির্বাচনে বক প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাদল, টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু, তালা প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ও উট পাখি প্রতীক নিয়ে মুজিবুর রহমান গণসংযোগে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তারা দিনরাত নানান প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। এদের মধ্যে দেবদুলাল বসু পল্টুর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলীম আহম্মেদ ( ভিপি) ছোটন ভাগ্য পরিবর্তনের শক্তিশালী প্রতীক হাতি প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচনী মাঠ ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।
স্থানীয় ভোটাররা বলেন এবার অনেক ভোটার অনৈতিক প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে যাকে সব সময় সুখে দুখে হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। তারা জানান এর আগের নির্বাচনে চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে মেম্বরদের ভোট প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এবার চেয়ারম্যানরা সে ধরনের কোন নির্দেশনা দিলে সেটা উল্টো হতেও পারে কারণ এদের মধ্যে এমন প্রার্থী রয়েছেন যারা বছরের ১১ মাস ঢাকায় থাকেন এলাকার কোন খোজ খবর রাখেন না এমন কি দল করা সত্বে ও দলের কোন জাতীয় প্রোগ্রামে ও উপস্হিত হন না,তারা শুধু নির্বাচন এলেই এলাকায় আসেন। এখন উপজেলাবাসী নেতৃত্বের পরিবর্তন চায় তাই এবার নতুন হিসেবে পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিয়ে উন্নয়নের নতুন ধারা অব্যাহত রাখতে চান। অপর দিকে প্রচার প্রচারণা শেষে চৌধুরী সেলীম আহম্মেদ ছোটন সাংবাদিকদের বলেন আমি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন ও মাদক মুক্ত সমাজ বিনির্মানে এলাকাবাসীর পাশে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাবো। তিনি বলেন আমার সাথে এলাকার ব্যাপক জন সমর্থন রয়েছে এবং ভোটের মাঠে যে সারা পেয়েছি এতে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো বলে শতভাগ আশাবাদী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন