গত ২৩ আগস্ট ২০১৭ সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের যুবদলের তৎকালীন যুগ্ম-আহবায়ক হুদা মোহাম্মদ আলমকে কথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগ এনে ঐ সময়কার জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম পুষ্প। গতকাল রোববার দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদনটি জমা দেন তিনি। এ মামলায় পুলিশ সুপার ছাড়াও তৎকালিন বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ থানার ওসি মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ ও এসআই জসিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারীর মামলার আবেদনটি আদালত গ্রহণ করলেও তা এখনও আমলে নেওয়া হয়নি। একইসাথে আদালতে আবেদনকারির বক্তব্য গ্রহণ করেছেন জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা। তবে আদালত এখনও কোন আদেশ দেন নি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ইলিয়াস বলেন, একটি কুচক্রিমহল পুলিশের এ চার কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে হুদাকে হত্যা করে। কিন্তু পুলিশের এ কর্মকর্তারা হত্যা পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীতে কর্মরত থাকার কারণে নিহতের পরিবার আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস করেন নি। বর্তমানে পুলিশের ওই কর্মকর্তারা বদলি হয়ে যাওয়ায় স্বামী হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।
প্রসঙ্গত, নিহত মো. আলম বেগমগঞ্জের ধীতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এবং আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহŸায়ক ছিলেন। গত ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ওই যুবদল নেতার মৃত্যু হয়। সেই সময় পুলিশ দাবি করেছিল গুলি বিনিময়ের ঘটনায় কর্মরত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, তিনটি ছোরা, পাঁচটি রড ও গ্রিল কাটার যন্ত্র জব্দ করা হয়েছিল। আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিলো। সে তখনকার চন্দ্রগঞ্জের সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
নিহতের পরিবার অভিযোগ ছিলো, ওই বছরের ২২ আগস্ট সকালে সাদা পোশাকের পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পরদিন বুধবার রাতে তাকে কথিত বন্দুক যুদ্ধে হত্যা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন