সিলেটে চুরির মামলায় গ্রেফতারকৃত এক নারীকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (১৭অক্টোবর) সিলেট মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতে ৩দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করলে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মো: শফিকুল ইসলাম (সবুজ)। আসামি শেফালি বেগম (৩২), এসএমপির মোগলার বাজার থানাধীন পালপুর গ্রামের জামাল মিয়ার কলোনির বাসিন্দা। গত ১২ অক্টোবর পালপুরস্থ জামাল মিয়ার কলোনি থেকে ওই মহিলা গ্রেফতার করেন আলমপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন।
জানা গেছে, মামলার বাদি বিশ্বনাথ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত ৪বছর যাবৎ স্ব-পরিবারে পালপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়ির জামাল মিয়ার ভাড়াটে বাসার ৩য় তলায় বসবাস করে আসছেন তিনি। গত ১অক্টোবর রাত ১২ টার দিকে ছেলে মেয়েকে নিয়ে পুত্রবধুর শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়লে সঙ্গবদ্ধ চোরেরা ৩ তলা অতিক্রম করে বাসার বারান্ধায় উঠে শয়ন কক্ষের লোহার গ্রীল কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। কক্ষে থাকা ষ্টীলের আলমিরার তালা ভেঙ্গে সাড়ে ৫ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২লক্ষ ৭০হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে য়ায়। বাদিনী পরদিন সকালে তার শয়ন কক্ষ চতুরদিকে দরজা ভিতরে বন্ধ দেখে সন্দেহের সৃস্টি হয়। এক পর্যায়ে দরজাটি খুলে দেয়া যায় ওই কক্ষের ষ্টীলের আলমিয়ার ভিতরে সবকিছু এলোমেলো। এ ঘটনায় পরদিন মোগলা বাজার থানায় ৩জনকে আসামি করে একটি চুরি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, (বর্তমানে) পালপুর গ্রামের জামাল মিয়ার কলোনির বাসিন্দা একই বাসার নিচতলার পাহারাদার হেলাল মিয়া (৩৮), তার স্ত্রী শেফালি বেগম (৩২) ও ভাই হরমুজ আলী (হমু) ।
আসামি হেলাল মিয়ার স্ত্রী শেফালি বেগম বাদিনীর বাসায় যাওয়া-আসা করত। ঘটনার দুদিন আগ থেকে তার গতিবিধি ছিল সন্দেহপূর্ণ। বাদিনী কোন কক্ষে শয়ন করবেন তা চুরির আগেরদিন জিজ্ঞেসও করে গেছেন বাসার কাজের মেয়েকে । সরল বিশ্বাসে শেফালি বেগমকে বাসায় কাজের সুযোগ দেয়ায় এমন চুরির কান্ড ঘটিয়েছে দাবি বাদিনীর। এ ব্যাপারে মোগলা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, মামলা হয়েছে, এক মহিলা আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন